ওড়িশা এফসি: ৬
এসসি ইস্টবেঙ্গল: ৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা ছিল শেষ ম্যাচে সর্বশক্তি দিয়েই ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ঝাঁপাবেন রবি ফাউলার। সেই মতোই শুরু থেকে ব্রাইট, পিলকিংটনদের নামিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিট ফল সেই শূন্য। সম্মানরক্ষার লড়াইতেও লিগ তালিকার লাস্ট বয়ের কাছে পরাস্ত হয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
ডার্বি হারের পর নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি লাল-হলুদ। স্বাভাবিকভাবেই কোচকে ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল ক্ষোভ। কিন্তু পালটা দিতে ছাড়েননি ফাউলারও। উলটে তিনি প্রশ্ন করেন, যে দলের গত ১০-১৫ বছরে বিশেষ সাফল্য নেই, তাঁদের সমর্থকদের আইএসএল চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে অতিরিক্ত প্রত্যাশা কেন? পাশাপাশি ফুটবলারদের চোট ও প্রস্তুতির জন্য সময়ের অভাবকেও ব্যর্থতার কারণ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার রাতে যে ওড়িশার বিরুদ্ধে এমন কিছু দেখা যাবে, তা এসসি ইস্টবেঙ্গলের অতি বড় শত্রুও হয়তো ভাবেননি। লাল-হলুদের ডিফেন্স নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলল ওড়িশার ফরোয়ার্ড লাইন। গোল শোধও অবশ্য হল। কিন্তু তুলনামূলক দুর্বল ওড়িশার কাছে ব্রাইটদের এমন নাস্তানাবুদ হতে দেখে ভক্তদের মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে বইকী! আইএসএলের ইতিহাসে প্রথমবার এক ম্যাচে ১১টি গোলের সাক্ষী থাকলেন দর্শকরা।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতি, দর্শকশূন্য মাঠেই হবে ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ]
পিলকিংটনের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। তবে কিছুক্ষণ পরই ম্যাচ শোধ করেন লালরেজুয়ালা। সেই গোলের তিন মিনিট পর আবার আত্মঘাতী গোল করে ব্রাইটদের এগিয়ে দেন রবি কুমার। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে ছন্নছাড়া বেশ হয়ে পড়েন ফাউলারের দলের ডিফেন্স। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক গোল করতে থাকে ওড়িশা। ডাগআউটে তখন অসহায় ভাবে নিজের দলের করুণ পরিণতি দেখছিলেন দেবজিৎ ঘোষ। দুটি করে গোল করেন পল ও জেরি। আর জয়সূচক গোলটি আসে মরিসিওর পা থেকে। যদিও গোল হজম করলেও লড়াই ছাড়েননি পিলকিংটনরা। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন অ্যারণ। একটি গোল জেজের। তবে পাঁচটি গোল শোধ করেও শূন্যহাতেই মাঠ ছাড়লেন তাঁরা। খুঁজেই পাওয়া গেল না ব্রাইটকে।
উলটোদিকে এই ম্যাচের জন্য তিন পয়েন্ট পকেটে পুরলেও লিগ তালিকার শেষেই রইল ওড়িশা। তবে সম্মানরক্ষার লড়াইয় নিঃসন্দেহে নিজেদের পারফরম্যান্সকে স্মরণীয় করে রাখলেন স্টিভেন ডায়াসের ছেলেরা।