কৃষ্ণকুমার দাস: রথ-উলটো রথ কাটলে ২৬ জুলাইয়ের পর খুলতে পারে পুরীর মন্দির (Puri Temple)। এই মর্মে ওড়িশা সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাল পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন মুখ্য প্রশাসক ওড়িশার (Odisha) ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর তথা পদাধিকার বলে পুরীর মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক কিষাণ কুমার। তবে তখনও মন্দিরে প্রবেশ করার সময় ভক্তদের বেশকিছু কোভিডবিধি মানতে হতে পারে।
আপাতত ওড়িশায় ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা প্রবেশ করুন এটা চাইছেন না সে জেলার প্রশাসকরা। তাই কোভিড মহামারীর কথা মাথায় রেখেই ভক্তদের জন্য খোলা হচ্ছে না পুরীর মন্দির। সব ঠিকঠাক থাকলে ২৬ জুলাইয়ের পর ভক্তদের জন্য মন্দির খোলা হতে পারে। মন্দির প্রশাসকমণ্ডলী সূত্রে খবর, যাঁদের কোভিড টিকার দুটি ডোজ নেওয়া হয়েছে, তাঁদের টিকার সার্টিফিকেট দেখে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতে পারে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ধাক্কায় ঘর ভাঙার আশঙ্কা? ত্রিপুরায় সংগঠন গোছাতে ঝটিকা সফরে BJP কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব]
বর্তমানে অতিমারী পরিস্থিতিতে ভক্তদের জন্য বন্ধ রয়েছে পুরীর মন্দির। তবে মন্দিরের ভিতরে চলছে নিত্যপুজো। কোভিডবিধি মেনেই সেবায়েতরা পুজোর কাজ করে যাচ্ছেন। গতবারের মতো এবারও কোভিড বিধি মেনেই পালিত হবে পুরীর রথযাত্রা। থাকবে না কোনও রকম ভক্ত সমাগম। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ জারি করল ওড়িশা সরকার। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারীর কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট যে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল তা মেনেই এবারও রথযাত্রা পালিত হবে বলেই জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। শুধু তাই নয়, একমাত্র পুরী ছাড়া ওড়িশার আর কোথাও রথযাত্রা পালন করা যাবে না।
ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন, এবছরও জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথযাত্রা অনুষ্ঠান পালিত হবে। তবে কেবল মাত্র করোনা নেগেটিভ ও টিকার দুই ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরাই তাতে অংশ নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ওই সময় পুরী জুড়ে কারফিউ জারি করা থাকবে।