নন্দিতা রায়: আর কয়েকমাস বাদেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। তার আগে বঙ্গ বিজেপিতে রদবদল হবে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। অনেকে আবার বলছিলেন, এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরাসরি পরিচালনা করবে। কিন্তু, কালীপুজোর ঠিক একদিন আগে সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে বাংলা জয়ের জন্য সেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপরেই আস্থা রাখল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁকেই ফের বেছে নেওয়া হল পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি পর্যবেক্ষক হিসেবে। আর তাঁর সহযোগী হিসেবে অরবিন্দ মেননের পাশাপাশি দায়িত্ব দেওয়া হল বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে। শুক্রবার বাংলার পর্যবেক্ষক হিসেবে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।
শুক্রবার বিকেলে বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় পর্যবেক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। তাতে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব ফের কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে দেওয়ার পাশাপাশি এই রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদ ও এক নেতাকে অন্য রাজ্যে সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন কিছুদিন আগে রাহুল সিনহাকে সরিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক হওয়া অনুপম হাজরা (Anupam Hazra), বাঁকুড়ার সাংসদ ডা. সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar) ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
[আরও পড়ুন: পাক গোলায় শহিদ ভারতীয় জওয়ান, স্ত্রীকে কথা দিয়েও তেহট্টে ফেরা হল না সুবোধের]
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংয়ের সই করা ওই তালিকা অনুযায়ী, বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে সিকিমের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাকে বিহারের ও বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডা. সুভাষ সরকারকে দেওয়া হয়েছে ঝাড়খণ্ডের সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব।