অর্ণব আইচ: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে (Fake vaccine) পুলিশের জালে আরও এক। বিরাটি (Birati) থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন অশোক কুমার রায় নামে এক ব্যক্তি। বুধবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, জাল টিকা কেলেঙ্কারির মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবকে অফিস ভাড়া দিয়েছিলেন অশোকবাবু। কসবার এই অফিসের মালিক তিনিই। পাশাপাশি দেবাঞ্জনের জালিয়াতির শিকার বিরাটির বাসিন্দা অশোক কুমার রায়। তাঁরও বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে কসবার ক্যাম্প থেকেই ভুয়ো করোনা টিকা দেওয়া হয়ে বলে অভিযোগ। অশোকবাবুকে আজ আদালতে পেশ করা হতে পারে।
ঝাঁ চকচকে অফিস, ভিতরে চেম্বার। রয়েছে বাতানুকূল যন্ত্র, কম্পিউটার। দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে এসব অফিসে আসলে কোনও জালিয়াতি চক্র চলছে। অথচ বাস্তবে ঘটেছিল তাই। কসবায় (Kasba) ভুয়ো টিকা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব এই ঝাঁ চকচকে অফিসে বসেই দাদা কাঞ্চনের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছে। করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine)নিয়ে জালিয়াতির মূল পাণ্ডা সে-ই। কাঞ্চনের জন্যও কসবার এই অফিসে ছিল আলাদা চেম্বার। ধৃত কাঞ্চন দেব এবং অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ এসব তথ্য হাতে পেয়েছে।
[আরও পড়ুন: দাদার পরামর্শেই লাগাতার জালিয়াতি? দেবাঞ্জন কাণ্ডে কাঞ্চন দেবের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ]
এবার গ্রেপ্তার করা হল কসবার এই অফিসের মালিককে। অশোক কুমার রায় নামে বিরাটির এক বাসিন্দা এর মালিক বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। বুবার রাতে তাঁকে বিরাটির বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই দিন কসবার ভুয়ো টিকা শিবিরে সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীদের (Mimi Chakraborty)সঙ্গে টিকা নিয়েছিলেন অশোকবাবুর আত্মীয়, বন্ধু-সহ প্রায় ৫০ জন। আরও জানা গিয়েছে, এই অফিসের ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে দেবাঞ্জনের থেকে ৬৫ হাজার টাকা পেতেন অশোকবাবু। তবে পুলিশের অনুমান, অশোকবাবু জালিয়াতি কাজকর্মের কোনও আঁচই পাননি। বরং তদন্তকারীরা মনে করছেন, তিনি সবই জানতেন। হয়ত এসবের সঙ্গে পরোক্ষভাবেব জড়িত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে মরিয়া পুলিশ।