সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল কিশোরী। সকলের চোখ এড়িয়ে বাড়িতেই সন্তানের জন্ম দিল সে। এর পিছনে রয়েছে ইউটিউবের ভূমিকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিশোরীর প্রেমিককে।
এতটা পড়ে নিশ্চয়ই ভাবছেন, ব্যাপারটা কী? কেরলের মালাপ্পুরমের বাসিন্দা ওই কিশোরী। বয়স মাত্র ১৭ বছর। এলাকারই বাসিন্দা ২১ বছরের এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ওই নাবালিকার। দুই পরিবারও তা জানত। জানা গিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে অবাধ মেলামেশার জেরে কয়েকমাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তবে কেউ বিষয়টি জানুক, তা চায়নি যুগল। মা দৃষ্টিহীন আর বাবা কর্মসূত্রে দিনের অধিকাংশ সময়ই থাকতেন বাড়ির বাইরে। ফলে বিশেষ সমস্যা পোহাতে হয়নি কিশোরীকে। শুধু ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে অনলাইন ক্লাসের নাম করে দিনের বেশিরভাগ সময়ই একটি ঘরে নিজেকে বন্দি করে রাখত নাবালিকা।
[আরও পড়ুন: নিজের সংস্থার প্রত্যেক কর্মীকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা করে বোনাস দিয়ে নজির মহিলার]
চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অসম্ভব, তাই প্রেমিক ওই কিশোরীকে ইউটিউব দেখে প্রসবের পদ্ধতি শিখে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। সেই মতোই দিনভর ভিডিও দেখে প্রসবের পদ্ধতি রপ্ত করে নেয় সে। চলতি মাসের ২৪ তারিখ প্রসব যন্ত্রণা ওঠে তার। সেই সময়ও ভিডিওতে দেখা পদ্ধতি অনুযায়ী প্রসব করে সে। নাড়ি কেটে সন্তানকে সে আলাদা করে নিজের থেকে। তারপরই নিজেকে পুরোপুরি ঘরবন্দি করে ফেলে কিশোরী। কিন্তু সন্তানের কান্নায় প্রকাশ্যে চলে আসে গোটা ঘটনা। তিনদিন পর সন্তান-সহ ঘর থেকে উদ্ধার হয় কিশোরী।
এরপরই মা ও শিশুকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে তারা। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই কিশোরীর মায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ৯ মাস সময় কীভাবে অনলাইন ক্লাসের অছিলায় নিজেক বন্দি করে রাখল কিশোরী। কেন পরিবারের সন্দেহ হল না, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে শিশু কল্যাণ সমিতি।