সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহ থেকে মালয়ালি চলচ্চিত্র জগতের একাধিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন সিপিএম বিধায়ক তথা অভিনেতা মুকেশ পাশে। এফআইআর দায়ের হয়েছে বাম বিধায়কের বিরুদ্ধে। যার পর শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এরপরেও অবশ্য দল জানিয়েছে, ইস্তফার প্রয়োজন নেই বিধায়কের।
বুধবার রাতে কোচি শহরের মারাদু থানায় মুকেশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এফআইআ হয়েছে। যে কোনও সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন অভিনেতা বিধায়ক। কারণ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে। যার পর কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট মুকেশের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই দাবি খারিজ করে দেন কেরল সিপিএমের নেতা ক্ষমতাসীন বাম জোট এলডিএফের আহ্বায়ক ইডি জয়রাজন। তিনি বলেন, "এর আগে কংগ্রেসের বিধায়ক এম ভিনসেন্ট এবং এলধোস কুন্নাপিলির বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তাঁরা কেউই ইস্তফা দেননি।" এলডিএফের আহ্বায়কের সাফ কথা, আগে কংগ্রেস নেতারা পদত্যাগ করুন। তার পরে মুকেশের বিষয়টি নিয়েও ভাবা যাবে।
[আরও পড়ুন: তালিকায় শাহরুখ-আদানি, ভারতীয় ‘সুপার রিচ’দের সম্পত্তি সৌদি-সুইজারল্যান্ডের GDP-রও বেশি]
যদিও দলের মধ্যেই বিরোধিতার মুখে পড়েছেন মুকেশ! বাম শরিক সিপিআইয়ের নেত্রী অ্যানি রাজা বুধবার মুকেশের ইস্তফা চেয়ে সরব হয়েছেন বলে খবর। যদিও জোটের তরফে জয়রাজন জানিয়ে দিলেন, দাবি করায় কিছু এসে যায় না। তবে ঘটনার তদন্তের এবং দোষীদের কঠিন শাস্তি দেওয়ার বিষয় আশ্বাস দিয়েছেন বাম নেতা।
উল্লেখ্য, কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে মুখর গোটা দেশ। এর মধ্যেই সিমিএম বিধায়কের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তি বাড়ছে বাম শিবিরে। মুকেশের বিষয়টি নিজের নিজের X হ্যান্ডেলে সামনে এনেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সংক্ষিপ্ত পোস্টে তিনি লিখেছেন--"মুকেশ সিপিএমের বিধায়ক। বাকিটা দেখেবুঝে নিন।" সঙ্গে একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিন শট শেয়ার করেছেন তিনি। যেটি আসলে কেরলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং অ্যানি রাজার ইস্তফার দাবি নিয়ে একটি সংবাদ।