সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন এক মহিলা। অবশেষে স্বামীর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহাবশেষ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খুনই করা হয়েছে মহিলাকে। এই ঘটনায় বুধবার ৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের মূল সন্দেহের নজর রয়েছে ওই মহিলার স্বামীর উপরে। যিনি এখন ইজরায়েলে কর্মরত।
এই ঘটনা কেরলের। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম কালা। ২০০৮-২০০৯ সালের মধ্যে হঠাৎই একদিন আলাপুঝা জেলার মান্নার এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান কালা। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৭। কিন্তু সেসময় পুলিশের কাছে কোনও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়নি। ফলে ধামা চাপা পড়ে যায় গোটা বিষয়টি। কিন্তু কয়েকমাস আগেই আলাপুঝা থানায় কালার বেপাত্তা হওয়া নিয়ে একটি অভিযোগ আসে। যার ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যায় কালার স্বামীর পরিচয়ও। শুরু হয় তল্লাশি।
[আরও পড়ুন: ফের ভয়ংকর গুলির লড়াই ছত্তিশগড়ে, যৌথবাহিনীর এনকাউন্টারে খতম ৫ মাওবাদী]
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তের জন্য যাওয়া হয়েছিল কালার স্বামী অনিল কুমারের বাড়িতে। তল্লাশি চালিয়ে সেখানকার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কালার দেহাবশেষ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে এমন কিছু প্রমাণ মেলে যা দেখে পুলিশের অনুমান খুন হয়েছেন কালা। এনিয়ে আলাপুঝার পুলিশ সুপার চৈত্র থেরেসা জন জানান, অনিল এই মুহূর্তে ইজরায়েলে কর্মরত রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে দ্রুত ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। কারও কারও দাবি, কালা ও অনিল ভিন্ন ধর্মের। কিন্তু পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু মাঝে কালা অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। নিজের গয়না নিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যান। তার পর অনিলও ফের বিয়ে করে ইজরায়েলে চলে যান। কী কারণে খুন করা হয়েছে কালাকে তা জানতে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।