সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধুর লোভ যতই না সামলানো যাক, মধু উৎপাদনকারীদের কিন্তু বেশ ডরাই আমরা। তাদের একটি কামড়েই প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই মৌচাকে ধারপাশ দিয়েও সাধারণত যাতায়াত করেন না মানুষ। মৌমাছিদের দল থেকে যখন এতটাই দূরত্ব রেখে চলি আমরা, তখন কেরলের এক পতঙ্গবিদ ঠিক উলটোপথে পা দিয়েছেন। তিনি মৌমাছিদের সঙ্গে সখ্য স্থাপন করেছেন। মাথায় এবং মুখে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি নিয়ে ৪ ঘণ্টারও বেশি সময়ে ঠায় বসে থেকে নাম তুলে ফেলেছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। তাঁর কীর্তিতে হতবাক সকলে।
নেচার এমএস একজন পতঙ্গবিদ। তাঁর বাবা মধুচাষি। ছোটবেলায় মৌমাছিদের ডেরায় বাবার যাতায়াত দেখেই ছেলের মনে মৌমাছি সম্পর্কে আগ্রহ জন্মায়। তারপর বাবার সঙ্গে জঙ্গলে যেতে শুরু করেন নেচার এমএস। মৌমাছিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফেলেন। তখন তাঁর বয়স খুব বেশি হলে ৭ বছর। সেই শুরু। এরপর নিজের উৎসাহে পতঙ্গবিদের পেশা বেছে নেওয়া। মৌমাছিরাও নাকি এমএসের সঙ্গ বেশ পছন্দ করে। তিনি জানাচ্ছেন, অন্তত ৬০ হাজার মৌমাছিকে একসঙ্গে মাথায়, মুখে নিয়ে অনায়াসে সময় কাটিয়ে দিতে পারেন। কোনও অসুবিধাই হয় না। কারণ, এটা তাঁর ছোটবেলাকার অভ্যাস।
[আরও পড়ুন: ১০ বোতল বিয়ার খেয়ে ১৮ ঘণ্টা প্রস্রাব চেপে রাখলেন, এ কী হাল হল ব্যক্তির!]
মৌমাছির দলকে যদি পোষ্য বলা যায়, তাহলে তারাই এমএসের পোষ্য। নাহলে কি আর টানা ৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে ওদের সঙ্গে বসে থাকা যায়? মাথা, মুখ হয়ে প্রায় বুক পর্যন্ত বসেছিল কয়েক হাজার মৌমাছি। আর ওদের নিয়ে টানা বসে থেকেই কেরলের এই তরুণ পতঙ্গবিদ নাম তুলেছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। নেচার এমএস বলছেন, মৌমাছি বাস্তুতন্ত্রের একটা বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ওদের সঙ্গে সাহচর্য মানুষের পক্ষেও ভাল। তাই ভয় না পেয়ে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার জন্য তিনি সবাইকে আবেদন জানিয়েছেন। বলছেন, ”মানুষের মতো মৌমাছিও সমাজবদ্ধ। তাই ওদের বোঝা সুবিধা। আমি চাই, আমার মতো সকলেই ওদের এভাবে কাছে টেনে নিক। তাতে নিজেদেরই ভাল হবে।” কিন্তু এমএমসের মতো সাহস কতজনেরই বা আছে, উঠছে সেই প্রশ্নও।
[আরও পড়ুন: দোকানি ছাড়াই বিক্রিবাটা! মিজোরামের এই দোকানের গল্প জানলে অবাক হবেন]
The post মাথায়-মুখে মৌমাছির ঝাঁক! ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় বসে গিনেস বুকে নাম তুললেন যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.