সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর নেতৃত্বেই দু’বছর ধরে মথুরায় যেন চলছিল পৃথক একটা দেশ৷ সেখানে আলাদা আইন-কানুন৷ আলাদা অধিবাসীদের গতিবিধিও৷ সাধারণ মানুষ শত অসুবিধা হলেও এ রাজ্যপাটের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারতেন না৷ তিনি রামবৃক্ষ যাদব৷ শেষমেশ পুলিশি অভিযানে শেষ হল তাঁর স্বায়ত্তশাসনের৷ মথুরা অভিযানে যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যেই মিলেছে রামবৃক্ষের মৃতদেহ৷ পুলিশের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে৷
রামবৃক্ষের কাহিনী সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়৷ উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা রামবৃক্ষ যাদব জয় গুরুদেবজির শিষ্য ছিলেন৷ সেই জয়গুরুদেবজি, যিনি নেতাজি সেজে ধোঁকা দিতে চেয়েছিলেন অসংখ্য জনগণকে৷ বুজরুকি ধরা পড়লেও রণে ভঙ্গ দেননি৷ বরং নতুন একটি সংগঠন খুলে কোটি কয়েক হাজার কোটির সম্পত্তি কামিয়েছিলেন৷ এহেন গুরুর শিষ্য হিসেবে রামবৃক্ষও কিছু কম যান না৷ মথুরায় নেতাজির নামে প্রায় একটা স্বাধীন রাষ্ট্র চালাতেন তিনি৷ তাঁর সংগঠনকে মোটে দুদিনের ধর্ণা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন৷ সেই ছিদ্রপথ দিয়েই কালসাপ হয়ে ঢুকে পড়েন রামবৃক্ষ৷ যার পরিণতি কৃষ্ণক্ষেত্রে রক্তের হোলি৷
রামবৃক্ষের মাথার উপর ঝুলছিল আটটি মামলা৷ তবে সম্ভবত মাথার উপর ছিল আরও বড় কোনও হাত৷ আর তাই খুনের দায়ে অভিযুক্ত হলেও এতদিনে তাঁর টিকিটিও ছোঁয়া যায়নি৷ শেষমেশ জওহরবাগে পুলিশি অভিযানে মৃত্যু হল তাঁর৷ পুলিশের দাবি, যে কজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে তাঁর মধ্যেই আছে রামবৃক্ষের মরদেহ৷ রামবৃক্ষ ও তাঁর চ্যালাদের উচ্ছেদ করতে গেলে অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপরই চড়াও হয় তারা৷ একাধিক গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণও ঘটানো হয়৷ এরকমই কোনও বিস্ফোরণে রামবৃক্ষের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান৷
গোটা দলের জ্বালায় অতিষ্ঠ ছিলেন সাধারণ বাসিন্দারা৷ রামবৃক্ষের মৃত্যুতে এখন স্বস্তির ছাপ এলাকায়৷
The post নিহত মথুরা-সংঘর্ষের মূল অভিযুক্ত রামবৃক্ষ, দাবি পুলিশের appeared first on Sangbad Pratidin.