ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ঠাকুরপুকুর ইএসআই হাসপাতালের হস্টেলে মেডিক্যাল পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘর থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট। ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কী কারণে জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিলেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম জ্যোতি গর্গ। বছর বাইশের ওই ছাত্রী আগ্রার বাসিন্দা। ঠাকুরপুকুর ইএসআই হাসপাতালে মেডিক্যালের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া তিনি। বেশ মেধাবী ছাত্রীই ছিলেন জ্যোতি। শেষবার সেমেস্টারে দশম স্থান দখল করেছিলেন। বুধবার সকাল নটা বেজে গেলেও জ্যোতির ঘরের দরজা বন্ধই ছিল। শুরু হয় ডাকাডাকি। তবে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি তাঁর। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। হস্টেলের ঘরের দরজা খুলে তাজ্জব হয়ে যায়। দেখেন ঘরে ঝুলছেন জ্যোতি। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: SSC মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ, সরব চাকরিহারাদের আইনজীবী]
পুলিশ সূত্রে খবর, জ্যোতির ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। ওই নোটে কী লেখা রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ নাকি অন্য কিছু, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দুঃসংবাদটি ছাত্রীর বাড়িতেও জানানো হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ জানতে তাঁর পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলবেন তদন্তকারীরা।