shono
Advertisement

‘লোন অ্যাপ’এ বাড়ছে বিপদ, উত্তমকুমারের ছবি পোস্ট করে সচেতনতার প্রচার কলকাতা পুলিশের

সাইবার জালিয়াতির ফাঁদ থেকে বাঁচতে কলকাতা পুলিশের এই অভিনব উদ্যোগ।
Posted: 01:21 PM Feb 09, 2022Updated: 01:40 PM Feb 09, 2022

অর্ণব আইচ: চটজলদি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে ‘লোন অ্যাপ’এ বিপদ। এই অ্যাপের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই খোয়াচ্ছেন টাকা। কেউ বা সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছেন। এই ব্যাপারে শহরবাসীকে সতর্ক করতে অভিনব উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতার প্রচারে তুলে ধরা হল বিখ্যাত বাংলা ছবি ‘দেয়া নেয়া’র সংলাপের ‘মিম’। এই সংলাপটি ইতিমধ্যেই বিভিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছিল, ‘ছেলে’ উত্তমকুমার ‘বাবা’ কমল মিত্রর মধ্যে কথোপকথন, যেখানে ‘ছেলে’ গানের টানে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার আগে ‘বাবা’র সঙ্গে কথার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দৃশ্য তথ্য সংলাপের উপর ভরসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ‘মিম’, এমনকী ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ও ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এই সংলাপে ‘ছেলে’ উত্তমকুমার বলছেন, “তাহলে আপনি বলতে চান, বিনা ডকুমেন্টে তাড়াতাড়ি লোন পাইয়ে দেওয়ার অ্যাপ থেকে লোন নিলে জীবনটা নাজেহাল হয়ে যাবে?” এর উত্তরে অনেকটা জোর দিয়েই ‘বাবা’ কমল মিত্র বলছেন, “বলতে চান নয়, বলছি।” লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, এভাবে ‘মিম’এর মাধ্যমে সচেতনতার প্রচার করলে এর প্রভাব পড়বে লোকের উপর। তার ফলে তাঁরা এই সাইবার জালিয়াতির ফাঁদ থেকে দূরে সরে থাকতে পারবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় বাইক চেপে এসে বাড়ির সামনে থেকে সারমেয়কে ‘অপহরণ’ দম্পতির! তারপর…]

পুলিশ জানিয়েছে, ঋণ দেওয়ার নামেই বিভিন্নভাবে ফাঁদ পেতেছে জালিয়াতরা। তারা মেসেজ পাঠিয়ে জানাচ্ছে যে, কোনও নথি ছাড়াই দু’লাখ বা ততোধিক টাকা ঋণ দেওয়া হবে। সুদের পরিমাণ দেখানো হয় অতি সামান্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লিংক ক্লিক করতে বলে হয়। কোনও সময় লিংক ক্লিক করলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় জালিয়াতরা। আবার ঋণের অ্যাপ বা ‘লোন অ্যাপ’ ডাউনলোড করলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর চাওয়া হয়। কেউ সেই অ্যাকাউন্ট নম্বর দিলে কিছু পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এক বা দু’মাস মাস বাদেই দেখা যায়, প্রচুর টাকা সুদ ও আসলে ফেরত চাওয়া হচ্ছে। কেউ অনলাইনের বিষয়টি এড়িয়ে চলতে শুরু করলে তাঁকে বারবার মেসেজ অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়। তিনি ওই মেসেজ এড়িয়ে চললে তাঁর কাছে ফোন আসতে শুরু করে। তখন তিনি বুঝতে পারেন, যে পরিমাণ সুদ চাওয়া হয়েছে, তা আসলে বাৎসরিক সুদ নয়, মাসিক সুদ। ফলে ক্রমে সেই সুদ বাড়তেও থাকে। আবার এমনও দেখা গিয়েছে, সাপ্তাহিক বা দৈনিক সুদও আসলের উপর চাওয়া হয়। সেই টাকার পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায় যে, যিনি ঋণ নিয়েছেন, তাঁর নাজেহাল অবস্থা হয়।

 

সুদ ও আসলে ওই টাকা ফেরত না দিলে তাঁকে শুরু হয় গালিগালাজ। আবার অনেক সময় বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে লোকও পৌঁছে গিয়ে হেনস্তা শুরু করে। এরকম একাধিক অভিযোগ পুলিশের কাছে এসেছে। বহু চিনা অ্যাপও এই ধরনের অপরাধ ঘটায় বলে অভিযোগ। লালবাজারের সাইবার থানার পুলিশ অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখছে। যাতে নতুন করে কেউ এই জালিয়াতদের শিকার না হন, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় শ্লীলতাহানি, পথচলতি তরুণীকে লাগাতার কটূক্তি, ফোন নম্বর চেয়ে শ্রীঘরে ২]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement