স্টাফ রিপোর্টার: সরকারের বলে দেওয়া নির্দিষ্ট ভাড়া আছে। কিন্তু সে ভাড়া মানছে কে? কারণ, বিমানের ধাঁচে ফ্লেক্সি ফেয়ার এখন ভলভো বাসেও। চাহিদা বুঝে হু হু করে বাড়ছে ভাড়া। কোনও কোনও সময় তো তা বিমানের ভাড়াকে রীতিমতো টক্কর দিয়ে দিচ্ছে। কলকাতা থেকে দিঘা যেখানে ভাড়া হওয়ার কথা চারশো টাকার কিছু বেশি, সেই ভাড়াই এখন নেওয়া হচ্ছে সাড়ে চোদ্দোশো টাকা।
অবশ্য যখন যাত্রী থাকছে না, তখন সেই ভাড়া বেশ খানিকটা কমছে। বেশিরভাগ বেসরকারি ভলভো বাসের টিকিটই এখন অনলাইনে কাটা হয়। আর সেখানেই চড়ছে ভাড়া। কখনও কখনও তা যাত্রীদের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভাড়া বাড়ছে দিঘা (Digha) এবং শিলিগুড়ি যাওয়ার। কারণ সেখানে যাওয়ার যাত্রী-চাপ সারা বছরই বেশি। ধর্মতলার বাসগুমটিতে গিয়ে জানা গেল, আসানসোল যাওয়ার ৪০০ টাকার টিকিট নূন্যতম নেওয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা। শিলিগুড়ির ভাড়া ১৩২০ টাকার বদলে ৩৫০০ টাকা উঠছে। ভাড়া চড়ছে ভলভো ছাড়া অন্যান্য এসি বাসেও। এসপ্ল্যানেডে থাকা বাসগুমটিতে তবু টিকিটের কিছু দরদাম করা যাচ্ছে। অনলাইনে কাটতে গেলেই পকেট হালকা হচ্ছে যাত্রীর।
[আরও পড়ুন: শেষ জীবনযুদ্ধ, ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত প্রখ্যাত চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী]
প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে বাড়ছে জ্বালানির দাম। ফলে বাড়ছে খরচও। আর সেই খরচকে সামাল দিতেই ভাড়া আর নিয়ন্ত্রণ করছে না বেসরকারি বাস এজেন্সিগুলো। চাহিদা বুঝে বাড়িয়ে দিচ্ছে ভাড়া। অথচ পরিবহণ দপ্তরের তরফে ২০১৮ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে দূরপাল্লার ভলভো এবং নন ভলভো এসি বাসের ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়। ভলভোতে প্রতি কিলোমিটার ২টাকা ২০ পয়সা এবং নন ভলভো এসিতে ২ টাকা করে। কিলোমিটার অনুযায়ী ভাড়া ঠিক হয়। কিন্তু ওটা ওই বিজ্ঞপ্তি আকারেই রয়ে গিয়েছে।
বাসচালকদের দাবি, যেভাবে ডিজেলের দাম রোজ বাড়ছে তাতে ভাড়া না বাড়িয়ে উপায় নেই। রোজ তো আর ভাড়া বাড়ানো যায় না। তাই বিমানের ধাঁচে এখানেও ফ্লেক্সি ফেয়ার করা হয়েছে। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভাড়ার অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট তালিকা থাকা দরকার। না হলে তো যেমন খুশি ভাড়া নেওয়া হবে। যাত্রীরা সমস্যায় পড়েবন।”