shono
Advertisement

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করাতে হবে পুরভোট, দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের

মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে ভোটে জিততে চাইছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
Posted: 04:31 PM Oct 20, 2021Updated: 04:49 PM Oct 20, 2021

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: উপনির্বাচনের পর রাজ্যের পুরনির্বাচনও করানো হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। এমন জোরাল দাবি জানালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তাঁর বক্তব্য, এই রাজ্য প্রশাসনের উপস্থিতিতে যদি রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হয়, তাহলে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া সম্ভব নয়। পুলিশের মেরুদণ্ড বেঁকে গিয়েছে। কারণ এই পুলিশ আগেও ব্যর্থ হয়েছে। যারা বারবার ব্যর্থ হয়, তাঁদের ফের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।

Advertisement

বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্যের পুরভোট আটকে আছে। এতদিন রাজ্য সরকারের ভোট করানোর ইচ্ছাই ছিল না। আমরা বারবার ভোট করানোর দাবি জানিয়েছি। কিন্তু রাজ্য সরকারের সম্ভবত এটাই পরিকল্পনা ছিল। বিধানসভা (West Bengal Assembly Election) ভোটের পর জেলায় জেলায় সন্ত্রাস করে মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে পুরসভাগুলি দখল করতে চাইছে ওরা।” সুকান্ত মজুমদার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের উপর তাঁদের ভরসা নেই। পুরভোট করাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই। প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব।

[আরও পড়ুন: চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নিরাপত্তায় জোর, রাজ্যে আসছে আরও ৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী]

পুরভোটে ভাল ফল করার ব্যাপারে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। সুকান্ত বলছেন,”ভারতীয় জনতা পার্টি সবসময়ই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। বিধানসভা ভোটের নিরিখেই রাজ্যের বহু পুরসভা এবং পুরনিগমে আমরা ভাল অবস্থায় আছি। এই প্রথমবার বিজেপি রাজ্য বহু পুরসভা এবং পুরনিগম দখল করবে।”

ফাইল ছবি

[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের আগে দলবদলের হিড়িক, খড়দহে BJP থেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে শতাধিক পরিবার]

বস্তুত, কলকাতা নগরনিগম-সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় ২০২০ সাল থেকে নির্বাচন বকেয়া পড়ে রয়েছে। করোনার জেরে ২০২০ সালে এই নির্বাচনগুলি করানো যায়নি। তবে সূত্রের খবর, বকেয়া পুরনির্বাচন দু’টি বা তিনটি ধাপে সম্পূর্ণ করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (EC)। সূত্রের খবর, কলকাতা ও হাওড়া, দুই নগরনিগমের ভোট প্রথম পর্যায়ে এবং ১১০টি পুরসভার নির্বাচন পৃথকদিনে একাধিক পর্যায়ে হওয়ার সম্ভাবনা। নবান্নের সবুজ সংকেত পেলে পুলিশ ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে দক্ষিণবঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে এবং উত্তরবঙ্গের পুরসভাগুলিতে তৃতীয় পর্যায়ে ভোটগ্রহণ করার পথে যাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ফের করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের দাপট না বাড়লে বড়দিনের আগেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। ভাইফোঁটার পরই জারি হতে পারে বিজ্ঞপ্তি। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে রাজ্য সরকারের সুপারিশ এলেই ১১২টি পুরসভার ২২ হাজারের বেশি বুথে ভোট পরিচালনায় নামছে কমিশন। পুরভোটপর্ব পরিচালনায় কত পুলিশ, কত ভোটকর্মী প্রয়োজন তার হিসাবে ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement