রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান, আর কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সংহতি মিছিলের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির একাধিক কর্মসূচি। দিনভর সেসব অনুষ্ঠানের দিকে নজর ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। আর সেখানেই দেখা গেল বিরল দৃশ্য। তৃণমূল নেত্রীর ডাকে সর্বধর্ম সমন্বয়ে মিছিলে নয়, বামপন্থী গণ সংগঠনগুলির উদ্যোগে বিজেপি-আরএসএস বিরোধী (Anti RSS-BJP) সম্মেলনের মঞ্চ আলো করে বসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু! সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উল্লেখ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা।
সোমবার দুপুরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী মহা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল বামপন্থী গণসংগঠনগুলির তরফে। আমন্ত্রণ পত্রে নাম ছিল শাসকদলের দুই ব্যক্তির – ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), সামিরুল ইসলাম। বক্তা তালিকায় ছিলেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শেতলবাদ-সহ আরও অনেকেই। যে উপলক্ষে আজকের এই সম্মেলন, তাতে ব্রাত্য বসুদের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন আয়োজকরা। সেই কারণেই তাঁদের আমন্ত্রণ।
[আরও পড়ুন: মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, শুটিং ছেড়েই গেরুয়া পতাকা হাতে নাচ রাজপাল যাদবের]
ব্রাত্য বসু তাঁদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেই সম্মেলনে হাজির হয়েছেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংহতি মিছিলের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর কথায়, একদিকে সংহতি মিছিল হচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমোর নেতৃত্বে। অন্যদিকে, এখানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সম্মেলন। লক্ষ্য একটাই, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে জোরদার লড়াই।
[আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা দেখে কেঁদে ফেললেন সোনু নিগম, বাকরুদ্ধ গায়ক, ভিডিও ভাইরাল]
পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের উত্তরে জানান, ”দলনেত্রীর আজ্ঞাতেই আমি এখানে এসেছি। ফ্যাসিবাদ বিরোধিতায় জোরদার লড়াই চলছে। এই সম্মেলনে কে এল, কে না এল, সেটা কোনও বিষয় না। আজকের দিনে যখন চারপাশে এত হিংসা, বিভাজনের নীতি, প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রতিবেশীর লড়াই, আমাদের মানবিক দিকগুলো একেবারে মরে যাচ্ছে, সেই জায়গা থেকে এই লড়াই আরও জোরদার করতে হবে। এই মঞ্চ সেরকমই একটা জায়গা।” তবে ব্রাত্যর এই অবস্থান নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা শুরু হয়েছে।