অভিরূপ দাস: যে চিকিৎসা পদ্ধতিতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump), তা এবার মিলবে বাংলাতেও। তাও আবার বিনে পয়সায়। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যের চার সরকারি হাসপাতালে শীঘ্রই শুরু হবে অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপির ট্রায়াল। করোনা চিকিৎসায় যাকে মোক্ষম অস্ত্র বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরা বলছেন যখন অন্যান্য কোনও ওষুধ কাজে আসে না তখন এই থেরাপিই পারে করোনা রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরেও প্রয়োগ হয়েছিল এই থেরাপি। এ শহরের একাধিক বেসরকারী হাসপাতালে অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি (Cocktail trial) দিয়ে রোগী সুস্থ করা হলেও সরকারী হাসপাতালে তা ব্রাত্য ছিল। কি এই অ্যান্টিবডি ককটেল? জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অর্নিবাণ দলুই জানিয়েছেন, কাসিরিভিম্যাব এবং ইমডেভিম্যাব নামে দু’টি অ্যান্টিবডির মিলিত ককটেলকেই বলা হচ্ছে অ্যান্টিবডি ককটেল। করোনার বিরুদ্ধে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই দু’টি অ্যান্টিবডিই বিশেষ কার্যকর।
[আরও পড়ুন: জৈন হাওয়ালা মামলা: মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত সুরেন্দ্র জৈনের, বিস্ফোরক দাবি সুখেন্দুশেখরের]
করোনা কালে (Corona Pandemic) চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে ‘অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি’। এই চিকিৎসায় ওষুধের দু’টি ডোজ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নিলে দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা সম্ভব বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। বেসরকারী হাসপাতালে সেই ডোজের খরচ ৬০ হাজার। সরকারীতে বিনামূল্যে পাওয়া গেলে সুরাহা হবে অগুনতি মানুষের। দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ শেষের মুখে। কিন্তু শেষের পরে যেমন আরেকটা শুরু থাকে, ঠিক তেমন করেই এবার নাগরিকদের স্বাস্থ্যে থাবা বসাতে চলেছে তৃতীয় তরঙ্গ। তেমন একটা সময় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিবডি ককটেলের ট্রায়াল নিয়ে উৎসাহিত চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে আপাতত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এবং এমআরবাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের উপর এই ককটেল প্রয়োগ করে দেখা হবে। যদি দেখা যায় সত্যিই রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন তবে পাকাপাকি ভাবে শুরু হবে প্রক্রিয়া। তবে সকলের উপর এই অ্যান্টিবডি ককটেল ব্যবহার করা যাবে না। মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গযুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক এবং ওজন ৪০ কেজির উপরে ওজন এমন করোনা রোগীদের উপরেই অ্যান্টিবডি ককটেল ব্যবহার করা যাবে। চিকিৎসকদের দাবি এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে রোগীর আর অক্সিজেনের দরকার পড়বে না।