সন্দীপ চক্রবর্তী: করোনা আতঙ্কে জেরবার গোটা বিশ্ব। মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ভারতেও। দেশে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০ ছুঁয়েছে। রাজ্যে আরও একজনের শরীরে জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩। এই অবস্থায় মারণ জীবাণুর সংক্রমণ রুখতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ হচ্ছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও আধিকারিকদের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ অন্তর হাজিরা নিয়ম চালু করল নবান্ন।
উল্লেখ্য, করোনা সতর্কতায় সব সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি করা হচ্ছে। খুব জরুরি ছাড়া কোনও দপ্তরের মিটিং করা হবে না। জোর দেওয়া হবে ই-ফাইলিং ব্যবস্থায়। এই সময়ে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ভিজিটর দের ঢুকতে দেওয়া হবে না নবান্নে। ঢুকতে দিতে হলেও তাকে প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজার দিতে হবে ও থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। অর্থ দপ্তর থেকে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ডাক্তার নার্স বা জরুরি কাজে নিযুক্তদের পুজোর পর বিশেষ ছুটি দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ, কলকাতার প্রথম করোনা আক্রান্তের বাবার সদস্যপদ খারিজ করল IMA]
ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে দেশের পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় লাফিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৫। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাজ্যবাসীকে সচেতন করতে শুক্রবার দুপুরে ফের নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের হাজিরা ৫০ শতাংশ করার পরামর্শ দেন তিনি। প্রয়োজনে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর ব্যবস্থার কথাও বলেন। করোনা মোকাবিলায় এদিন তহবিল তৈরির কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে আগামী ছ’মাস ২ টাকার চাল, ডাল, গম বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এদিন ফের সকলকে স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যাবহারের পরামর্শ দেন তিনি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাস্কের পরিবর্তে কাপড় ব্যবহারের কথাও বলেন। ঘর থেকে না বেরনোর কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরপর শহরের দুই করোনা আক্রান্তের কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর বিদেশ ফেরত এরাজ্যের বাসিন্দাদের প্রয়োজনে জোরপূর্বক ঘরবন্দি করা হবে বলে জানান তিনি। অযথা আতঙ্ক না করে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষোভ উগরে দেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, মহামারি করোনায় ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। ভারতে সরকারিভাবে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়নি ঠিকই কিন্ত অনেকেই বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। তবে চিকিৎসক মহলের দাবি, দেশে এখনও সমষ্টিগত সংক্রমণ ছড়ায়নি। তবে চরম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: ‘পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব বিপজ্জনক’, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যপালের]
The post করোনা মোকাবিলায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের এক সপ্তাহ অন্তর হাজিরা appeared first on Sangbad Pratidin.
