সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যমগ্রামে ট্রলিবন্দি দেহ উদ্ধারের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক ঘটনা। এবার বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরের রাস্তায় দেখা গেল রহস্যময় ট্রলি, সেখান থেকে উদ্ধার এক যুবতীর দেহ। তাঁর মুখে সেলোটেপ লাগানো। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্ল্য এলাকায়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কে বা কারা এভাবে খুন করে দেহ ট্রলিবন্দি করে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে রেখে গেল, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এই ঘটনায় তটস্থ এলাকার সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরে জঞ্জালঘেরা একটি পরিত্যক্ত এলাকায় কালো রঙের ট্রলিব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে বাগুইআটি থানার পুলিশ পৌঁছে ট্রলি খুলে দেখতে পায়, ভিতরে এক যুবতীর দেহ। তার মুখে বাদামি রঙের সেলোটেপ। তাতে সন্দেহ আরও উসকে ওঠে তদন্তকারীদের। এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মৃতা এলাকার নন। অন্য কোথাও খুন করে দেহ ট্রলিবন্দি করে এখানে এনে ফেলে রাখা হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কিনারার চেষ্টায় তদন্তরকারীরা। মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তা জানাই এখন পুলিশের প্রাথমিক লক্ষ্য। তাতে গোটা ঘটনার তদন্তে বড়সড় ক্লু মিলবে বলে মনে করছে পুলিশ।
এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে মাস খানেক আগে আহিরিটোলা ঘাটের কাছে ট্রলিবন্দি দেহ উদ্ধারের কথা। সেখানে মধ্যমগ্রামে খুনের পর আত্মীয়ার দেহ ট্রলিতে ভরে গঙ্গার ঘাটে ফেলতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় মা-মেয়ে। ফাল্গুনী ও আরতি ঘোষ নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ফাল্গুনী নামে গৃহবধূ নিজের মা আরতি ঘোষের সঙ্গে মিলে পিসিশাশুড়িকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার আগেই আহিরিটোলা ঘাটের মানুষজন তাঁদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বাগুইআটির ঘটনাও তেমনই কিছু কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
