shono
Advertisement
Medicine

চিনের ওষুধকে বলা হচ্ছে 'মেক ইন ইন্ডিয়া'! ফেডারেশনের তোপের মুখে কেন্দ্র

ঠিক কী অভিযোগ করছে ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশন?
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 12:40 PM May 11, 2025Updated: 01:16 PM May 11, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: কাজের কাজ নেই। ঢক্কানিনাদই সার। ভারতে নামাজাদা সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার ওষুধ তৈরির 'অ্যাক্টিভ প্রোডাক্ট' আসে চিন থেকে। কেন্দ্রীয় সরকার সে সব ওষুধকেই নাকি বলছে 'মেক ইন ইন্ডিয়া'। শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়নের সভায় এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পার্থ রক্ষিত।

Advertisement

সম্প্রতি ৭৪৮টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দাম বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউট্যাল প্রাইসিং অথরিটি বা এনপিপিআর। এদিন ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ-সহ আরও চার দফা দাবিতে সভার ডাক দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়ন। এদিনের সভায় হাজির ছিলেন চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম, আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টটিভস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাসব রায়চৌধুরী, শুভ্রাংশু ভট্টাচার্য। শুভ্রাংশু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ওষুধ প্রস্তুতকারক দুনিয়ায় একচেটিয়া রাজত্ব ছিল দেশীয় সরকারি সংস্থাগুলোর। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কর্পোরেট বান্ধব নীতির ফলে সেই সরকারি সংস্থাগুলোকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গল কেমিক্যালের মতো সংস্থা ন্যাপথালিন, আর ফিনাইল ছাড়া আর কিছুই প্রস্তুত করে না। কোভিডের পর ওষুধের বাজার বেসরকারি সংস্থাগুলোর একচেটিয়া মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়নের অভিযোগ, ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতিটি বেসরকারি সংস্থাকে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি করার লাইসেন্স দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

চিকিৎসকদের শুধুমাত্র জেনেরিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে হবে। সম্প্রতি এমন রায় দিয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়কে স্বাগত জানিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়নের সদস্যদের বক্তব্য, "শুধুমাত্র জেনেরিক ওষুধ লিখলেই পরিস্থিতি বদলে যাবে না। কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেনেরিক ওষুধ মাত্রেই সস্তা এমন একটা বার্তা রটানো হচ্ছে। সম্প্রতি সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন যে গুণমান পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ওষুধের তালিকা প্রকাশ করেছে তার সিংহভাগই জেনেরিক ওষুধ। হাতেগোনা কয়েকটি ব্র্যান্ডেড। অভিযোগ, ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস ব্যুরো অফ ইন্ডিয়া এমন সব সংস্থাকে ওষুধ তৈরির বরাত দিচ্ছে যারা একের পর এক খারাপ মানের ওষুধ তৈরি করছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কাজের কাজ নেই। ঢক্কানিনাদই সার। ভারতে নামাজাদা সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার ওষুধ তৈরির 'অ্যাক্টিভ প্রোডাক্ট' আসে চিন থেকে।
  • কেন্দ্রীয় সরকার সে সব ওষুধকেই নাকি বলছে 'মেক ইন ইন্ডিয়া'।
  • শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউনিয়নের সভায় এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পার্থ রক্ষিত।
Advertisement