অভিরূপ দাস: এখনও অত্যন্ত সংকটনজনক প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রয়েছেন আইসিইউ-তেই। প্রয়োজনে তাঁকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, শনিবার গভীর রাতে তীব্র পেটে ব্যথা ও বমি নিয়ে বেসকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বিজেপি সাংসদ।
বুধবার বেসরকারি হাসপাতালা থেকে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখনও সংকটজনক। অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস ভুগছেন তিনি। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। চিকিৎসার জন্য একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে।
শনিবার হঠাৎ বমি ও ভীষণ পেটে ব্যথা শুরু হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ওই অবস্থায় দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই ভর্তি রয়েছেন বিজেপি সাংসদ।
কী হয়েছে তাঁর?
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পেটে তীব্র যন্ত্রণা। পেটের উপর থেকে শুরু হওয়া এই যন্ত্রণা ক্রমশ গোটা পেট-সহ পিঠের শিরদাঁড়ায় ছড়িয়ে পড়ছিল। বমি ও সেই ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের মূল কাজ হল পাচক রস বা এনজাইম তৈরি করা। এই পাচক রস আমাদের খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন বা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনও তৈরি করে। সাধারণত পাচক রস বা এনজাইমস তৈরি হওয়ার পরে তা অগ্ন্যাাশয়ে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। অন্ত্রে পৌঁছনোর পরেই সেগুলি সক্রিয় হয়ে খাবার হজমে সাহায্য করে। কিন্তু কোনও কারণে যদি অগ্ন্যাশয়ে থাকা অবস্থাতেই এনজাইমগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে, তখন তা প্যানক্রিয়াস গ্ল্যান্ডকেই হজম করতে শুরু করে। এমনটাই হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।