shono
Advertisement
Primary Teacher Recruitment Case

প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল হাই কোর্টে, কবে থেকে শুরু?

এর আগে মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি সৌমেন সেন।
Published By: Suhrid DasPosted: 01:05 PM Apr 28, 2025Updated: 04:47 PM Apr 28, 2025

গোবিন্দ রায়: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ৩২ হাজারের নিয়োগ বাতিল মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। আজ সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলা উঠেছিল। ডিভিশন বেঞ্চ এদিন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছে। আগামী ৭ মে থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হবে বলে হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু বক্তব্যও এদিন রাখা হয়েছে।

Advertisement

 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teacher Recruitment) দুর্নীতি মামলা নিয়ে ক্রমে বাড়ছিল দুশ্চিন্তা। এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। আগামীতে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ কী? সেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। সেই মামলারই শুনানি এদিন হওয়ার কথা ছিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।

আজ সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। যদিও সেই শুনানি পিছিয়ে আগামী ৭ মে থেকে শুরু হবে বলে এদিন আদালত থেকে জানানো হয়। এদিন আদালতের থেকে জানানো হয়, ৩২ হাজার নিয়োগ বাতিল মানে আইনজীবীদের দীর্ঘ সারি তাঁদের বক্তব্য রাখবেন। এত সময় আদালত দেবে না। একই বক্তব্য ও একই ইস্যুতে থাকা আইনজীবীদের একজন নেতৃত্ব দেবেন। একজন আইনজীবীর মাধ্যমেই সেসব বক্তব্য আদালতে পেশ হবে। এই বিষয়ে সব পক্ষকে লিখিত বক্তব্য ও নথি পেশ করতে হবে। এই নির্দেশও এদিন আদালতের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের (Primary Teacher Recruitment Case) পরীক্ষায় টেট উত্তীর্ণ হন প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। ২০১৬ সালে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ। টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে ৪২,৯৪৯ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, ওই ৪২,৯৪৯-এর মধ্যে ৩২,০০০ প্রার্থী ‘অপ্রশিক্ষিত’। এছাড়াও তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক ‘অনিয়ম’ হয়েছে। সঠিক পদ্ধতিতে ইন্টারভিউ এবং ‘অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট’ না নিয়েই চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেসময় মামলায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে সিঙ্গল বেঞ্চ। পরে সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ওই মামলা কলকাতা হাই কোর্টের বিচারাধীন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল। যদিও পরে ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি সৌমেন সেন। ফলে সেই মামলা প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে চলে যায়। এই মামলার শুনানি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে হবে বলে পরে জানানো হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ৩২ হাজারের নিয়োগ বাতিল মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল।
  • আজ সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলা উঠেছিল।
  • ডিভিশন বেঞ্চ এদিন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছে।
Advertisement