ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাতারাতি রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chandrima Bhattacharya) ফেসবুকে কভার পিকচার বদল। জ্বলজ্বল করে ওঠে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ (One Person One Post) নীতির সমর্থনে ছবি। তৃণমূলের তরুণ ব্রিগেডের পাশে দাঁড়িয়ে একই ইস্যুতে তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইটও করা হয়। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা সরিয়ে ফেলা হয়। চন্দ্রিমা দাবি করেন, যা ঘটেছিল তা তিনি নিজে করেননি। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করে ভোটকৌশলী সংস্থা আই-প্যাক। চন্দ্রিমার পোস্টের পরই পালটা টুইটে রাজ্যের মন্ত্রীর দাবি খারিজ প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার। তবে তার আগে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করে I-PAC।
আই-প্যাকের (I-PAC) তরফে টুইটে সাফ জানানো হয়, ওই সংস্থাটি তৃণমূল কিংবা রাজ্যের শাসকদলের কোনও নেতানেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ কিংবা অ্যাকাউন্ট হ্যান্ডেল করে না। যাঁরা এই দাবি করছেন তাঁরা হয় কিছু জানেন না কিংবা তা ডাহা মিথ্যা। তৃণমূলের তদন্ত করে দেখা উচিত কে বা কারা দল কিংবা নেতানেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় হস্তক্ষেপ করল।
[আরও পড়ুন: নিজেকে গুটিয়ে নিতে চান অভিমানী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! সিদ্ধান্ত সোমবার]
এই প্রথমবার নয়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থা আই-প্যাকের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আগেই। পিকের সংস্থার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যে ক্রমশই তলানিতে ঠেকেছে তা কানাঘুষো শোনাও গিয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, দু’পক্ষের দূরত্ব আরও বেড়েছে তা চন্দ্রিমার দাবির পালটা জবাবি টুইটে প্রায় পুরোপুরি স্পষ্ট।
এদিকে, ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ৭৭টি টুইটার অ্যাকাউন্ট ফলো করত। তার মধ্যে একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার হ্যান্ডেল আনফলো করে I-PAC। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের আগের মতোই টুইটার হ্যান্ডেল ফলো করতে শুরু করে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা।