অর্ণব আইচ: সংস্থার কর্মীকে ভরসা করে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন মালিক। সেই ভরসাই কাল হল! ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা নিয়ে স্রেফ উধাও হয়ে গেলেন কর্মী। যাতে মালিকের কাছে কৈফিয়তও না দিতে হয়, তার জন্য মোবাইলও বন্ধ করে রেখেছিলেন। লক্ষ্য ছিল, পুরো টাকাটাই আত্মসাৎ করা। কিন্তু বিধি বাম! কর্মীর সঙ্গে বেশ কয়েকদিন যোগাযোগ করতে না পেরে সোজা থানায় অভিযোগ করতেই পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ওই কর্মী। জোড়াবাগান থানার পুলিশ অভিযুক্ত মেঘনাথ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। বাকি নগদের খোঁজ চলছে। অভিযুক্তদের আজ তোলা হবে আদালতে।
জোড়াবাগান থানা এলাকার (Jorabagan) স্ট্র্যান্ড রোডের বাসিন্দা পঙ্কজ মিত্তল থানায় অভিযোগ করেন, গত ৩ জুন তিনি তাঁর সংস্থার কর্মী মেঘনাথ মণ্ডলের হাতে ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা দেন ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন, ওই টাকা তাঁর ব্যাঙ্কে (Bank)জমা পড়েনি। মেঘনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে পঙ্কজবাবু তাঁর মোবাইল সুইচড অফ পান। তাঁর সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হন। মেঘনাথ মণ্ডলের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
[আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা জানিয়েও মোদিকে ‘খোঁচা’! খলিস্তানি বিতর্কের আবহে কী বললেন ট্রুডো?]
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, হাওড়ার (Howrah)রাজাপুর থানা এলাকায় নিজের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বছর বিয়াল্লিশের মেঘনাথ। তার ভিত্তিতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দেখতে পুলিশ মেঘনাথ মণ্ডলকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার (Arrested)করে। বাড়ি তল্লাশি করে ৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকার খোঁজে তল্লাশি চলছে। মেঘনাথকে বৃহস্পতিবার তোলা হবে আদালতে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে প্রতারণার তদন্ত করতে চায় পুলিশ। মালিক পঙ্কজ মিত্তলের সঙ্গে তাঁর অতীত কোনও শত্রুতার জেরে এই ঘটনা নাকি স্রেফ মালিককে প্রতারণার ছক, সেই প্রশ্ন উঠছে।