shono
Advertisement

Dilip Ghosh-এর ‘কন্নাশ্রী’ Placard বিতর্ক, বিজেপি সাংসদকে ‘বর্ণপরিচয়’উপহার কংগ্রেস নেতার

ইমেল মারফত দিলীপ ঘোষকে 'বর্ণপরিচয়' পাঠালেন কৌস্তভ বাগচি।
Posted: 01:48 PM Aug 13, 2021Updated: 03:31 PM Aug 13, 2021

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্যের প্রকল্প নিয়ে ব্যঙ্গ করতে গিয়ে নিজেই হাসির খোরাক হয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সংসদের সামনে বিক্ষোভরত বিজেপি সাংসদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে ‘কন্নাশ্রী’র প্রতিবাদ। এর পালটা দিতে গিয়ে অভিনব উদ্যোগ নিলেন কংগ্রেস যুবনেতা কৌস্তভ বাগচি। তিনি ইমেল মারফত দিলীপ ঘোষকে পাঠালেন ‘বর্ণপরিচয়’ (Barnaparichoy)। কৌস্তভের শ্লেষ, ওঁর অক্ষরজ্ঞানটুকুও নেই, তা ফের প্রমাণ করলেন। তাই তাঁর শিক্ষার জন্য এটা পাঠানো হল। জানা গিয়েছে, বইটি দিলীপ ঘোষের বাড়িতেও পাঠাবেন কৌস্তভ। তার আগে ডিজিটাল সংস্করণই পাঠালেন।

Advertisement

বুধবার সংসদের সামনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) সাংসদরা। যার মূল ইস্যু ছিল বাংলায় নারী নিরাপত্তা। বিজেপি সাংসদদের হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। দিলীপ ঘোষের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “কন্যাশ্রী চাই না। সম্মান চাই।” কিন্তু দেখা যায়, প্ল্যাকার্ডে ‘কন্যাশ্রী’র বানান লেখা ‘কন্নাশ্রী’। পরে অবশ্য এই ভুল বুঝতে পেরে প্ল্যাকার্ড বদলে ফেলেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে বিতর্ক যা ছড়ানো, ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আগে বানান শিখুক। তারপর প্রতিবাদ করবে ওঁরা।”

[আরও পড়ুন: একাধিক বিতর্কের জের, অপসারিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি Mahua Das!]

দিলীপ ঘোষের এই ‘অজ্ঞানতা’ নিয়ে বিরোধী দলগুলির কটাক্ষের বন্যা বয়ে গিয়েছে। তবে শুক্রবার সকালে তাঁকে ‘বর্ণপরিচয়’ উপহার দিলেন যুব কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। তাঁর কথায়, ”বাংলাকে গোটা ভারত চেনে শিক্ষা, সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে। কিন্তু দিলীপ ঘোষ দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদের নামে যা করেছেন, তাতে বাংলার সংস্কৃতি ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আগেও বারবার নিজের অশিক্ষার পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে এবার বোঝালেন, তাঁর অক্ষরজ্ঞানও নেই। তাই ‘বর্ণপরিচয়’ পাঠালাম। আজ ইমেলে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে বইটাই পাঠিয়ে দেব।” 

[আরও পড়ুন: দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া Metro লাইনের পাশে ধস, চলছে মেরামতির কাজ]

অন্যদিকে, বিতর্কের মুখে পড়ে সাফাই দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ”অনুবাদ করতে গেলে এমন একটু হয়। দিল্লিতে তো আর বাংলা নেই। ওরা হিন্দি থেকে বাংলা অনুবাদ করে।” পাশাপাশি, সমালোচনার জবাবে দিলীপ আরও বলেন, ”আমরা একটা সুযোগ দিয়েছি অনেককে খবর ছাপানোর জন্য, মন্তব্য করার জন্য।” তবে ‘কন্যাশ্রী’র বাংলা বানানে কীভাবে অনুবাদ প্রসঙ্গ এল, সে বিষয়ে প্রশ্ন থাকছেই।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement