সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে বিনা নোটিসে কাজে যোগ না দেওয়া অফিসার ও কর্মীদের এবার বেতন কাটা শুরু করল কলকাতা পুরসভা। বিশেষ করে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও জল সরবরাহের মতো জরুরি নাগরিক পরিষেবায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরকর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
লকডাউনের জেরে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত শহরতলি বা জেলায় আটকে থাকা পুরকর্মীদের অনুপস্থিতিতে ছাড় দিয়েছে পুরসভা। কিন্তু, তাও বেশ কয়েকজন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের অফিসার ও কর্মীরা এখনও কাজে যোগ দেননি। এমনকী ডিউটি রোস্টার করে পুর কমিশনার বিজ্ঞপ্তি জারির পরেও তাঁরা নাগরিক পরিষেবায় অংশ নেননি। বস্তুত এরপরেই ১ মে থেকে বেতন কাটার মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাটল পুরবোর্ড।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, কলকাতা পুরসভায় মুখ্য প্রশাসক পদে বসতে চলেছেন ফিরহাদ হাকিমই ]
পুরসভার কর্মীবর্গ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, “প্রায় ৪০ দিন ধরে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুপস্থিত কর্মীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এবার কাজে যোগ দিতেই হবে। যদি তাঁরা দূরবর্তী জেলায় থাকেন তবে পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করলে শহরে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে।”
করোনা মোকাবিলায় এবার পুরসভার অধিক সংক্রমণপ্রবণ দশটি বরোকে (১ থেকে ১০ নম্বর বরো) বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অভিযানে নামছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রতিটি বরোকে জোনাল হেডকোয়ার্টার ধরে একজন করে ডেপুটি হেলথ অফিসারকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই অফিসাররা সপ্তাহে তিনদিন বরো অফিসে বসে কনটেনমেন্ট জোনে মাইক্রোপ্ল্যানিং ইউনিট ধরে ধরে বিশেষ নজরদারি চালাবেন।
[আরও পড়ুন: করোনার কবলে কর্মীরা, সংক্রামক এলাকা থেকে স্থানান্তরিত ট্রাফিক গার্ডের অফিস]
এপ্রসঙ্গে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “পুরসভার ৬৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ৩৫০০ ভেক্টর কন্ট্রোল এবং ১০০ দিনের কর্মীদের নিয়ে বিশেষ করোনা মোকাবিলার অভিযান চলবে।”
The post গরহাজির কর্মীদের বেতন কাটা শুরু কলকাতা পুরসভায় appeared first on Sangbad Pratidin.
