shono
Advertisement
Kolkata Police

বড়বাজারের ডাকাতির কিনারা, ৩ দুষ্কৃতীকে বিহার থেকে গ্রেপ্তার কলকাতা পুলিশের

আদালতের নির্দেশে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
Published By: Suhrid DasPosted: 04:54 PM Mar 24, 2025Updated: 04:54 PM Mar 24, 2025

অর্ণব আইচ: বড়বাজারে সিনাগগ স্ট্রিটের একট বহুতলের পাঁচতলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। ১৫ লক্ষ টাকা লুট হয়। সেই ঘটনার তদন্তে সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্তদের বিহার থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হল। ধৃতদের এদিন আদালতে তোলা হয়।

Advertisement

চলতি মাসের শুরুর দিকের এক সন্ধ্যায় বড়বাজারের সিনাগগ স্ট্রিটের একটি বহুতলের পাঁচতলায় ঘটেছে ডাকাতি হয়। ওই বাড়িতে একাধিক সংস্থার অফিস আছে। পাঁচতলার ওই অফিসে তিনজন হানা দেয়। তাদের মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি ছিল। অফিসে তেমন লোকজনও ছিল না। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তিনজন তাঁকে মারধর করে। এরপর হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়। অফিসে থাকা ১৫ লক্ষ টাকা লুট করে দুষ্কৃতীরা পালায়।

বড়বাজার থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একজনকে চিহ্নিত করা হয়। ওই যুবক বড়বাজার এলাকাতেই একট দোকানে কাজ করে বলে জানা যায়। সেখানে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন ওই যুবক নিজের বিহারের বাড়ি চলে গিয়েছে। এরপরই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। জানা যায়, ওই যুবকের বাড়ি বিহারের দানাপুরে। এরপরই তদন্তকারীরা দানাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু করে ওই যুবকের সন্ধান মেলে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই সে ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে।

জানা যায়, সে নিজেই ওই ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। ওই অফিসে নগদ টাকা থাকে। সেই কথা জেনেই নিজের পরিচিত দুই যুবককে নিয়ে ডাকাতির ছক কষে। ডাকাতি সফলও হয়। অন্য দুই যুবক পাটনা ও ধানবাদের বাসিন্দা। তাদের খোঁজে এরপর পুলিশ পাটনা ও ধানবাদ যায়। দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ধৃতদের আজ সোমবার আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বড়বাজারে সিনাগগ স্ট্রিটের একট বহুতলের পাঁচতলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।
  • ১৫ লক্ষ টাকা লুট হয়। সেই ঘটনার তদন্তে সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ।
  • অভিযুক্তদের বিহার থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হল।
Advertisement