সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় সাতমাসের বেশি সময় ধরে গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে তিহাড় জেলে কাটছে দিন তাঁর। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ইতিমধ্যেই অনুব্রত জানিয়েছেন তাঁর পাশে রয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার কালীঘাটে বীরভূমের নেতাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে যেন সে দাবিতেই আরও একবার সিলমোহর দেওয়া হল। কারণ, জেলবন্দি অনুব্রততেই আস্থা তৃণমূলের। তাই এখনও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পদে কোনও বদল নেই। অনুব্রতহীন বীরভূমের সংগঠনের রাশ নিজের হাতেই রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে ওই জেলার সংগঠনের গুরুদায়িত্ব মমতার কাঁধে। এছাড়া জেলার দেখভাল করবেন ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক এবং পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন চক্রবর্তী। জেলার নেতানেত্রীদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষার ভার বিকাশ রায়চৌধুরীর কাঁধে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার কোনও বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অধিকারও একমাত্র বিকাশকেই দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
[আরও পড়ুন: দু’বছরের কারাদণ্ডের জের, খারিজ হয়ে গেল রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ]
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে বীরভূমের দলের অন্তর্কলহ নিয়েও আলোচনা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে বলেই সাফ জানান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা গিয়েছে, বারবার মুখ খুলে বিতর্ক তৈরির করার জন্য নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখকেও নাকি বকাঝকা করেন ‘দিদি’।