অর্ণব আইচ: বেলেঘাটায় (Beleghata) মহিলা আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। গ্রেপ্তার মহিলা আইনজীবীর স্বামী শুভাশিস দাশগুপ্ত। বধূ নির্যাতনের মামলার প্রতিশোধ নিতে শ্বশুরবাড়িতেই ডাকাতির ছক কষে সে। আজই ধৃতকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হবে।
গত ২১ জানুয়ারি পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটার সুরাহ ইস্ট রোডের বাসিন্দা মহিলা আইনজীবীর বাপের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় তাঁর মা, বাবা এবং ভাই উপস্থিত ছিলেন। দুষ্কৃতীরা বাধা পেয়ে আইনজীবীর ভাইকে আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে আঘাতও করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলেঘাটা থানার পুলিশ আধিকারিক এবং লালবাজারের গোয়েন্দারা। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: ৪ রাজ্যে জিতেই চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে কোপ! ৪৪ বছর পর সর্বনিম্ন ইপিএফের সুদের হার]
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আগেই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জেরা করে পুলিশ আইনজীবীর স্বামী শুভাশিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসে। ইতিমধ্যেই পুলিশ শুভাশিসের খোঁজ করতে শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুরীতে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। তবে শেষরক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে শুভাশিস। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে সে।
সূত্রের খবর, ২০০৭ সালে শুভাশিসের সঙ্গে আইনজীবী কোয়েলের বিয়ে হয়। তবে দাম্পত্য মোটেও সুখের ছিল। তাই দু’জনে একসঙ্গে থাকতেন না তাঁরা। বধূ নির্যাতনের মামলা করেন মহিলা আইনজীবী। তারই প্রতিশোধ নিতে চান শুভাশিস। কসবার বাসিন্দা গুড্ডু নামে এক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই আইনজীবী। গুড্ডু পুরনো একটি মামলায় আগেও গ্রেপ্তার হয়। মহিলা আইনজীবীর বাড়িতে ১৬ কোটি টাকা রয়েছে বলে টোপ দেয়। ডাকাতি করার জন্য দুষ্কৃতীদের অগ্রিম লক্ষাধিক টাকাও দেয় শুভাশিস। সেই অনুযায়ী গুড্ডু বিহারের একটি ডাকাত দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই বেলেঘাটায় মহিলা আইনজীবীর বাপের বাড়িতে লুটপাট করে। তবে প্রতিশ্রুতিমতো টাকা না দেওয়ায় শুভাশিসকেও অপহরণের পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। যদিও পুলিশের তৎপরতায় সে ছক বানচাল হয়ে যায়।