shono
Advertisement
Kolkata Metro

'বাড়ি ফিরছি', স্ত্রীকে ফোন করেই মেট্রোয় ঝাঁপ, আত্মহত্যার নেপথ্যে মানসিক চাপ!

আট বছরের ছোট্ট ছেলে বাবার অপেক্ষায়।
Published By: Suhrid DasPosted: 06:50 PM Feb 11, 2025Updated: 06:50 PM Feb 11, 2025

অর্ণব আইচ: স্ত্রীকে ফোনে বলেছিলেন বাড়ি ফিরছেন। আশ্বস্ত হয়ে স্ত্রী ফোন রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি আর ঘরে ফেরেননি। সোমবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে ফোনের কিছু পরেই এসপ্লানেড মেট্রো স্টেশনে ট্রেনের সামনে মরণঝাঁপ দিয়েছিলেন কার্তিক দাস। মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসার পর থেকেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে ওই পরিবারের।

Advertisement

সোমবার মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন নরেন্দ্রপুর উদয়পল্লির বাসিন্দা বছর ৩৭-এর কার্তিক দাস। চোখের জল বাঁধ মানছে না স্ত্রী সুস্মিতা দাসের। তাঁদের আট বছরের ছোট্ট ছেলে বাবার অপেক্ষায়। জানা গিয়েছে, কার্তিক ছিলেন ছেলে অন্তপ্রাণ। বাবা-ছেলের ছিল গলায় গলায় বন্ধুত্ব। সেই মানুষ কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন! হতবাক প্রতিবেশীরাও। মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, দিন কয়েক হল একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ শুরু করেছিলেন কার্তিক দাস। ডালহৌসিতে ছিল তাঁর অফিস।

কিন্তু আত্মহত্যা কেন করলেন তিনি? মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, কার্তিক বেশ কয়েকদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। সেজন্য তাঁর দুশ্চিন্তাও ছিল। অফিস থেকে বেরনোর পরেই স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল স্ত্রীর। বাড়ি ফেরার প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষপর্যন্ত ফিরলেন না তিনি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় এলাকাতেও শোকের ছায়া।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এসপ্লানেড মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যা করেন এক যাত্রী। যার জেরে প্রথমে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় পরিষেবা। তবে কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী মেট্রো চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি। সন্ধ্যার সময় মেট্রো পরিষেবার উপর চাপ থাকে। ফলে একদিকের মেট্রো বন্ধ হওয়ায় চরম নাকাল হন অফিসযাত্রীরা। আধঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ডাউন লাইনে আংশিকভাবে শুরু হয় পরিষেবা। ময়দান থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত ও দক্ষিণেশ্বর থেকে সেন্ট্রাল পর্যন্ত চলে মেট্রো। এসপ্লানেডে লাইন পরিষ্কারের পর ফের দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।

 

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • স্ত্রীকে ফোনে বলেছিলেন বাড়ি ফিরছেন।
  • আশ্বস্ত হয়ে স্ত্রী ফোন রেখেছিলেন।
  • কিন্তু তিনি আর ঘরে ফেরেননি।
Advertisement