অর্ণব আইচ: টেট দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে দাঁড়িয়ে নিজের যন্ত্রণা, সামাজিক সম্মান হানির নিয়ে রীতিমতো বিলাপ করলেন অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। মঙ্গলবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। তারপর বিচারক বেরিয়ে যান। তখনই একলা মানিক ভট্টাচার্য স্বগতোক্তির ঢঙে বলে ওঠেন, ”আই অ্যাম বার্নিং ইন দ্য কারাগার। কিন্তু আমার নামে কুৎসা হচ্ছে। এই যে সোশ্যাল প্রেস্টিজ যাচ্ছে, তা কে ফিরিয়ে দেবে?”
এর আগে সিবিআই (CBI) মানিক ভট্টাচার্যর দুটি আলাদা পাসপোর্ট (Passport) রয়েছে বলে নথি পেশ করেছিল। কিন্তু এদিন তিনি সেই বিষয়টি নিয়ে আদালতে সরব হন। তাঁর কথায়, ”সিবিআই এই তথ্য় কীসের ভিত্তিতে বলছে? আমার ২০০৮ সালে পাসপোর্ট তৈরি হয়। তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি নতুন পাসপোর্ট হাতে পাই। দুটি পাসপোর্ট একসঙ্গে রাখা ছিল। আর তাতেই আমার ২টি পাসপোর্ট হয়ে গেল? আমার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় আমি সব তথ্য দিয়েছিলাম সিবিআইকে। বুঝিয়েও বলেছিলাম সব। তখন বুঝেছিল। কিন্তু এখন সিবিআই অন্য কথা বলছে।”
[আরও পড়ুন: ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ‘শাস্তি’, নাবালিকাকে ২৯বার কুপিয়ে খুন, যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত]
এছাড়া লন্ডনে তাঁর বাড়ি আছে বলেও সিবিআই অভিযোগ তুলেছিল। তার জবাবে মানিকবাবু এদিন বলেন, যদি লন্ডনে আমার বাড়ি হয় তাহলে আই শুড বি হ্যাংগড। নদিয়া যদি লন্ডনের মধ্যে চলে আসে, তবেই আমার লন্ডনে বাড়ি থাকা সম্ভব।” তবে এই সব কথাই তিনি বলেন আদালতে একা দাঁড়িয়ে। যদিও বিকেলে শুনানির পর আদালত থেকে বেরিয়ে প্রকাশ্যেই এসব কথা বলেন মানিক ভট্টাচার্য।
[আরও পড়ুন: শিল্পের জন্য পতিত জমি ফেরানোর সময়সীমা বেঁধে দিল নবান্ন, বিকল্প কাজে লাগানোর ভাবনা]
অন্যদিকে, এদিন ভারচুয়ালি আদালতে পেশ করা হয় এসএসসি (SSC)দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। অর্পিতা বিচারকের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ”আমি তো কোনও রাজনীতির মধ্যে নেই। আমি রাজনীতি করি না। আমার এখানে গায়নকোলজিক্যাল সমস্যা হচ্ছে। এখানে ঠিকঠাক পরিবেশ নেই। খুব সমস্যায় আছি।” বিচারক এখনও কাউকে কোনও রায় শোনাননি।