বিধান নস্কর, দমদম: অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তৎপর পুলিশ। বিধাননগরে প্রোমোটার মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক যুবক। ধৃত রমেন মণ্ডল। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রবিবারই পুলিশ এই ঘটনায় শুভেন্দু মণ্ডল ওরফে বাবাইকে গ্রেপ্তার করে। এই নিয়ে মোট দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই নিয়ে মোট দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর, খুনের চেষ্টা, তোলাবাজি এবং অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার তাদের বারাসাত আদালতে তোলা হবে।
বিধাননগর পুরনিগমে বৈধ অনুমতিতে প্রোমোটার কিশোর হালদার নিজের জমিতে বহুতল তৈরি করছেন। তাঁর অভিযোগ, তা সত্ত্বে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তোলা চান। প্রথমবার কাউন্সিলরকে ৩ লক্ষ টাকা দেন বলেই দাবি ব্যবসায়ীর। তবে প্রতিদিনই দাবিদাওয়া বাড়তে থাকে। টাকা দিতে পারছিলেন না প্রোমোটার। শনিবার কাউন্সিলর নিজেই প্রোমোটারের কাছে আসেন বলেই দাবি। তাতে দাবিপূরণ করতে পারেননি প্রোমোটার।
রবিবার কাউন্সিলরের অনুগামী হিসাবেই পরিচিত ছাত্রনেতা গোবিন্দ দাস, শুভেন্দু ওরফে বাবাই-সহ কমপক্ষে ৪০ জন প্রোমোটারের উপর চড়াও হয়। অভিযোগ, প্রথমে টাকাপয়সা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় দুপক্ষের। তবে তা সত্ত্বেও টাকা দিতে অস্বীকার করেন প্রোমোটার। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয় প্রোমোটারকে। মাথা ফেটে যায় তাঁর। গলগল করে রক্ত বেরতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রোমোটার ও তাঁর পরিবারের লোকজন। আইনি সাহায্যের আশায় বাগুইআটি থানার দ্বারস্থ হন প্রোমোটার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। শুভঙ্কর মণ্ডল ওরফে বাবাইকে গ্রেপ্তার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। এরপর রাতভর জোর তল্লাশি চালিয়ে রমেন মণ্ডল নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা।