সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চাকরিহারাদের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছে আইনি সাহায্যের আর্জি জানান তাঁরা। পাশে থাকার আশ্বাস দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। অবশ্য সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় চাকরিহারাদের পাশে থাকার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাণ থাকতে কারও চাকরি যাবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
চাকরিহারাদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, "স্বেচ্ছাশ্রম দেবেন না। এরা সিভিক টিচার হবেন না। আপনারা আইনজীবী ঠিক করুন। টাকা লাগবে না। আমরা বিজেপি এমএলএরা টাকা দেব। একমাসের বেতন দিয়ে দেব। ১৬ বার শুনানি হয়েছে। যোগ্যদের তালিকা দিলে, এই দৃশ্য দেখতে হত না।" রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, "নেতাজি ইন্ডোরে বেশিরভাগ চাকরিহারা ঢুকতে পারেননি। কারও বক্তব্য শুনতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী।" শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, "আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্যদের তালিকা সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে হবে। না করলে আগামী ২১ এপ্রিল পতাকা ছাড়া লক্ষ মানুষ নবান্নের দিকে যাবে। আমাদের ডাকলে পতাকা ছাড়া নবান্নের সামনে যাব। বিক্ষোভ সমাবেশ করব। জেলে যেতে হলে যাব।"
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের এক কলমের আঁচড়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। আদালতের রায়ের পর রাজ্যজুড়ে চাকরিহারাদের হাহাকার। তাঁদের বিকল্প দিশা দেখাতে নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সমাবেশে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে আইনি পথে লড়াইয়ের বার্তা দেন। মমতার কথায়, “যাঁরা এতদিন কাজ করতেন, তাঁরা কী করবেন? নতুন পরীক্ষা নিতে বলেছেন, আগে জানতে চাই, যাঁরা শিক্ষক ছিলেন এতদিন, তাঁদের জন্য কী ব্যাখ্যা? স্কুল কে চালাবে?” সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ব্যাখ্যা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “যখন কেউ পথ হারায়, পথের মধ্যে পথ খুঁজে নিতে হয়। ভাঙা রাস্তা পেরিয়ে পথ খুঁজে নিতে হয়। এ, বি বাতিল হলে সি রেডি, ডি রেডি, ই রেডি রাখতে হয়।” মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, “আপনাদের কারও কাছে ভিক্ষা করে খেতে হবে না। পড়াশোনা করুন। বাচ্চাদের মানুষ করুন। ভলান্টিয়ারিলি সার্ভিস দিন। আমরা চাই আইন আপনাদের সুরাহা করুক। মমতাকে খাস্তা করতে গিয়ে শিক্ষকদের চাকরি কেড়ে নেবেন না। কারও উসকানি, প্ররোচনা শুনে প্ররোচিত হবেন না। মনে রাখবেন।”