সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা সংসদে বলতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলে ফেলেছিলেন 'বঙ্কিম দা'। সংসদেই প্রধানমন্ত্রীকে ভুল ধরিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ। এমনকী ‘বন্দে মাতরম’কে গুলিয়ে ‘বন্দে ভারত’ বলে ফেলেন বিজেপি মন্ত্রী। সেই বঙ্কিম-পর্বের পর এবার প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপনেও একগুচ্ছ ভুল! আবারও তা ধরিয়ে দিল তৃণমূলই। একটি বিজ্ঞাপনে এতগুলো বানান ভুল দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না রাজ্যের শাসক দল।
রানাঘাটের মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় কান পাতলে এখন শুধুই উৎকণ্ঠা! এসআইআর-ভীতি তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এই আবহেই আজ, শনিবার নদিয়ায় সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। যদিও কুয়াশার কারণে তাঁর কপ্টার এদিন রানাঘাটে নামতে পারেনি। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই প্রথমে প্রশাসনিক এবং পরে রাজনৈতিক সভায় দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। ঢালাও খরচ করে সেই কর্মসূচির বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেই ভুল! প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে একাধিক বানান ভুল! আর তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না তৃণমূল। শুধু তাই নয়, একেবারে চিহ্নিত করে সেই ভুলগুলিকে তুলেও ধরা হয়েছে সমাজমাধ্যমেও।
অফিসিয়াল সমাজমাধ্যমে তৃণমূল লিখছে, 'বাংলায় নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসনিক সভাকে কেন্দ্র করে খবরের কাগজ জুড়ে অস্বাভাবিক আত্মপ্রশংসামূলক বিজ্ঞাপনের জন্য বিজেপির টাকার অভাব হয় না। অথচ কী পরিহাস! সেই টাকার সামান্য অংশ যদি বাংলা বর্ণপরিচয়ের ক্লাসে খরচ করা হতো, তবে অন্তত প্রাথমিক বানানগুলো এমন ভুল হতো না।' শুধু তাই নয়, পোস্টের নিচে সঠিক বানানগুলি তৃণমূলের তরফে তুলে ধরা হয়। সেগুলি হল - আশীর্বাদ, হ্রাস, পাশাপাশি এবং উপস্থিতি। তবে কেন্দ্রের এহেন কাজে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই বলেও কটাক্ষ শাসকদলের।
এই বিষয়ে সমাজমাধ্যমে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূলের ব্যাখ্যা, 'এরাই সেই দল যাদের নেতারা বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে অবজ্ঞা করে, ভাষার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে, বাংলার সাংস্কৃতিক শব্দভাণ্ডারকে ধুলিসাৎ করে এবং চূড়ান্ত অজ্ঞতায় ‘বন্দে মাতরম’কে গুলিয়ে ‘বন্দে ভারত’ বলে ফেলে।' এটা আসলে বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে ওদের যোজনব্যাপী দূরত্বের প্রমাণ বলেও কটাক্ষ শাসকদলের।
এখানেই শেষ নয়! বিজেপিকে একহাত নিয়ে তৃণমূল আর লিখছে, 'যে দল বাংলাকে কেবল সন্দেহ, ঘৃণা আর সাংস্কৃতিক অশিক্ষার চশমা দিয়ে দেখে, তারা হঠাৎ করে বাংলা শাসনের ভান করতে পারে না। যারা পেছনের দরজা দিয়ে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখে, তারা এ মাটির ভাষাটুকুই শুদ্ধভাবে লিখতে জানে না। আপনাদের এই অজ্ঞতা আজ সবার সামনে বেআব্রু হয়ে পড়েছে।'
