অর্ণব আইচ: সেনাবাহিনীর গৌরবের 'বিজয় দিবস'। আগামী ১৬ ডিসেম্বর সেই বিশেষ দিন উপলক্ষে শহরে আসছেন ২০ জন বাংলাদেশি অতিথি। তাঁদের মধ্যে আটজনই মুক্তিযোদ্ধা। আগামী সপ্তাহে অতিথিদের নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠান রয়েছে। রবিবার বিজয় দুর্গ তথা ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবসের সূচনা করেন ইস্টার্ন কমান্ডের সেনাকর্তা মেজর জেনারেল ভানগুরু রঘু।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৯৩ হাজার পাক সৈন্য আত্মসমর্পণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবছরও ওই দিনটিতে 'বিজয় দিবস' উদযাপন করবে ভারতীয় সেনা। সেই উপলক্ষে সেনাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ২০ জন বাংলাদেশের অতিথি এসে পৌঁছচ্ছেন কলকাতায়। এই টিমে থাকছেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার পদের এক আধিকারিক-সহ বাংলাদেশের দুই সেনাকর্তা। এছাড়াও বাংলাদেশের আটজন মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও আসছেন কলকাতায়।
অনুষ্ঠানের সূচি অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর তাঁরা বারাকপুরের মঙ্গল পান্ডে মিলিটারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেনাদের ‘মিলিটারি টাট্টু’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ওইদিন রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ও সন্ধ্যায় বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় স্মারকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন-সহ একাধিক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা। প্রতি বছরই ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাকর্তারা ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যা দু'দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ও ঐতিহাসিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। ভারতীয় নৌবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড 'বিজয় মাস' উদযাপনের অংশ হিসেবে বিজয় র্যালি ও বাইক মিছিলের আয়োজন করে, যা গোটা মাস ধরে চলে। সবমিলিয়ে, 'বিজয় দিবস' স্মরণে কলকাতায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য সামরিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, যেখানে বাংলাদেশও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
