অর্ক দে, বর্ধমান: “লোভে পাপ পাপে মৃত্যু”— গুরুজনেরা তেমনটাই বলে গিয়েছে। তা বলে কি ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানির লোভ ছাড়া যায়! তাও আবার যদি তা মাত্র ৩০ টাকায় পাওয়া যায়। কী, বিশ্বাস হচ্ছে না? বেশ তাহলে বর্ধমানে কোর্ট কম্পাউন্ডে অফিস পাড়ায় চলে যেতেই পারেন। বেলা বারোটা থেকেই ৩০ টাকার চিকেন বিরিয়ানি খেতে পড়ে যায় লম্বা লাইন।
বর্ধমানের (Bardhaman) বাজারে যেকোনও সাধারণ দোকানে এক প্লেট বিরিয়ানির দাম নূন্যতম ১৫০ টাকা। আর বড় বড় রেস্তরাঁর কথা তো ছেড়েই দেওয়া যাক। সেখানেই এই অগ্নিমূল্যের বাজার কেবলমাত্র ৩০ টাকায় বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে। আর ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা দোকানমালিক প্রীতম রাউতের। ১০ দিন আগে ২ কেজি চালের বিরিয়ানি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। এখন প্রতিদিন ৬ কেজি চালের বিরিয়ানি তৈরি করেও খদ্দের সামাল দিতে পারছেন না।
[আরও পড়ুন: এক ফুচকায় হাজার স্বাদ! পুদিনা, স্ট্রবেরি, ভ্যানিলা, চাইনিজ ফুচকার নতুন ঠিকানা এই জেলা]
একসময় শ্রীরামপুরে চাকরি করতেন বর্ধমানের বাদমতলা এলাকার বাসিন্দা প্রীতম রাউত। সেখানে একটি দোকানে সস্তায় বিরিয়ানি খবর পেয়েছিলেন তিনি। পরে সেই চিন্তা থেকেই নিজে দোকান শুরু করার কথা ভাবেন তিনি। মাত্র ৩০ টাকার বিরিয়ানি হলেও বেশ পরিপাটি করেই পরিবেশন করা হচ্ছে। অন্যান্য দোকানের তুলনায় কোনও অংশে কম নয় এই বিরিয়ানি। স্বদেও বিশেষ তফাৎ নেই। কাজের ফাঁকে বা অফিসের টিফিন টাইমে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন।
বর্ধমানের কোর্ট কম্পাউন্ড চত্ত্বরে রয়েছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর। এছাড়া, বর্ধমান কোর্টে সারাদিন অসংখ্য মানুষের আনাগোনা। এই চত্ত্বরে খাবার দোকানও বেশি নেই। তাই ৩০ টাকার বিরিয়ানিতে মজেছে বর্ধমানবাসী। শুধু বিরিয়ানি নয় সঙ্গে রয়েছে চিকেন চাপ। এক পিস চিকেন চাপের দাম কেবলমাত্র ১৫ টাকা। কেউ চাইলেই বিরিয়ানির সঙ্গে অতিরিক্ত ডিম যোগ করতে পারেন কেবল ১০ টাকার বিনিময়ে।
দোকানমালিক প্রীতম রাউতের বক্তব্য,” কেবলমাত্র চিকেন বিরিয়ানি তৈরি করেছি এখন। এক প্লেট বিরিয়ানিতে এক পিস মুরগির মাংস, এক পিস আলু থাকছে। ১০ দিনে চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই বিরিয়ানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই খোঁজ করছেন। তাদের দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।”