সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক অবসাদ। অতিমারীর (Corona pandemic) মধ্যে বারবারই ঘুরে ফিরে উঠে আসছে এই শব্দটি। আচমকা জীবনধারা বদলে যাওয়ার ফলে অদ্ভুত এক মানসিক চাপ চেপে বসেছে মানুষের মাথায়। দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার মুখ ফুটে সমস্যার কথা জানাতেও পারেননি। তবে এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে অসুবিধায় পড়েছেন তাঁরা, যাঁদের একা থাকতে হয়। সারাক্ষণ মনে হয় যেন বাড়িটা গিলে খেতে আসছে। কারও সঙ্গে কথা না বলতে পারার হতাশাও কাজ করে। এক্ষেত্রে কী করণীয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মানসিক অবসাদের অন্যতম প্রধান দুটি কারণ হল দুশ্চিন্তা ও অতিরিক্ত উত্তেজনা (Anxiety)। একটা বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করা কিংবা একটা পরিস্থিতি নিয়ে বেশি টেনশন করা কিন্তু মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। এই উত্তেজনা এবং হতাশার ফলে অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হতে পারে। নিজেকে অনেক সময় অসহায় মনে হয়। এমনকী প্যানিক অ্যাটাকও আসতে পারে। এমন অবস্থায় একা থাকলে কী করবেন?
[আরও পড়ুন: BigBasket অ্যাপ ব্যবহার করেন? সাবধান! দু’কোটি ইউজারের তথ্য চুরি করল হ্যাকাররা]
১. ভাবনার জগতে বেশিক্ষণ বিচরণ না করে বাস্তবের মাটিতে ফিরে আসুন। একটি বিষয় নিয়ে যত বেশি চিন্তা করবেন, তত তার বিস্তার ঘটবে। একটু চেষ্টা করলেই নিজের ভাবনায় লাগাম টানতে পারেন। কী হবে বা হতে পারে, এসব না ভেবে আশপাশে কী হচ্ছে, সে দিয়ে মন দিন।
২. কথায় বলে মন ভাল থাকলেই শরীর ভাল থাকে। উলটো কথাটিও কিন্তু একইরকম প্রযোজ্য। শরীর চাঙ্গা থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে। তাই মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে, মনকে ভাল রাখতে শরীরচর্চা করুন নিয়মিত। না, কঠিন কোনও ব্যায়াম কিংবা জিমে গিয়ে ঘাম ঝড়ানো নয়। মাথায় তেল মালিশ, শরীরে ম্যাসাজ, স্নানের সময় ভালভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দেখভাল করাও কিন্তু মন ভাল রাখার চাবিকাঠি।
৩. নিজেও নিজের বন্ধু হওয়া সম্ভব। গোটা বাড়ি আপনার। যেটা করতে ভালবাসেন, সেটাই করুন। রান্না, নাচ-গান, গল্পের বই পড়া, ছবি আঁকা, গাছ পরিচর্চা- যা ইচ্ছা করবে, সেই কাজেই নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
৪. টিভি কিংবা মোবাইলে চোখ রাখলে ভাল খবর খুঁজুন। যে খবর পড়লে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটবে, সেটাই পড়ুন। বন্ধু-বান্ধব কিংবা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে আড্ডা দিতে পারেন।
৫. মনে রাখতে হবে, নিজেকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনার নিজেরই। তাই অন্যের ভরসায় থাকলে চলবে না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলুন। শরীরের রোগ দূরে থাকলে মনের রোগও কাছে আসতে ভয় পাবে।