বিয়ে মানেই বহুদিন থেকে মনে সাজিয়ে রাখা স্বপ্ন। তা পাত্র হোক বা পাত্রীর। সেই স্বপ্নটা যদি হয় সিনেমার মতো রঙিন! সেই স্বপ্নই যদি হয়, সুন্দর করে গোছানো ফুলের তোড়ার মতো! তাহলেই তো বিয়ে হয়ে উঠবে সারাজীবনের সবচেয়ে মধুর স্মৃতি। আর সেই স্বপ্নকে সত্যি করে তুলতে পারে ওয়েডিং ফটোগ্রাফাররা। নিজের সৃজনশীল মন, ক্যামেরা, এডিটের কারসাজিতে আপনার বিয়েকেও করে তুলতে পারে বলিউড-টলিউডের বিয়ের মতো। কোথায় পাবেন এরকম ওয়েডিং ফটোগ্রাফার? তার খোঁজ দিচ্ছে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। কলকাতা শহরের জনপ্রিয় ওয়েডিং ফটোগ্রাফার শুভজিৎ বণিকের কাছ থেকে জেনে নিন ওয়েডিং ফটোগ্রাফির খুঁটিনাটি।
২০১৩ সালে শুভজিতের হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে www.birdlenscreation.com. ২০১৬ সালে এই সংস্থা অফিশিয়ালি রেজিস্ট্রার হয়। তারপর থেকেই এই সংস্থার মাথায় একের পর পালক। শহরের নানা সেলিব্রিটিরা তাঁদের বিয়ের যাবতীয় ফটোগ্রাফির দায়িত্ব তুলে দেন এই শুভজিতের এই সংস্থার হাতে। এই যেমন, সম্প্রতি টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিষ্টি সিংয়ের বিয়ের ফটোগ্রাফির দায়িত্ব ছিল শুভজিতের কাঁধেই।
এক সময় মডেল ছিলেন শুভজিৎ। এখন পেশায় স্কুল শিক্ষক। তবে পাশাপাশি নিজের ফটোগ্রাফির প্যাশনকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বার্ডলেন্স ক্রিয়েসানের হাত ধরে।
তা হঠাৎ করেই এই ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে আসা?
শুভজিৎ: ফটোগ্রাফিটা আমার প্রথম থেকেই প্যাশন ছিল। তারপর দেখলাম ব্রাইডাল ফটোগ্রাফি বা ওয়েডিং ফটোগ্রাফি ব্যাপারটা খুব ইন্টেরেস্টিং। তাই ধীরে ধীরে ওয়েডিং ফটোগ্রাফির দিকে মনযোগ দিতে শুরু করলাম। আর এখন তো এই ওয়েডিং ফটোগ্রাফির বাজারটাও খুব ভাল। তাই এটাকে নিয়ে একটু সিরিয়াসলি এগোতে চেয়েছি।
এখন তো বাজারে এরকম অনেক ব্রাইডাল ফটোগ্রাফির কোম্পানি রয়েছে। লড়াইটা অনেক বেশি। আপনাকেই বাছবে কেন?
শুভজিৎ: প্রথমেই বলব আমাদের সৃজনশীলতা, গুণমান এবং অবশ্য়ই যন্ত্রপাতি। অনেক হাই কোয়ালিটি জিনিসপত্র আমরা ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে ব্যবহার করি। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হল ঠিক সময়ে কাজ শেষ করা। অর্থাৎ বিয়ের দিন ফটোগ্রাফি তো হয়ে যায়। কিন্তু ছবির তোলার পর, মানে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজে বেশিরভাগেরা অনেক বেশি সময় নিয়ে নেয়। এই পর্বটাকে আমরা নিজেদের মতো করে সুন্দর করে সাজিয়েছি। কাস্টোমারের সঙ্গে ঠিকঠাক কমিউনিকেশন রেখে যাওয়া। তারপর ঠিক সময় মতো কাজটা ডেলিভারি দেওয়া। এটাই আমাদের ইউএসপি বলতে পারেন।
প্রি ওয়েডিং, ওয়েডিং ফটোগ্রাফির সময় কোন দিকগুলোর খেয়াল রাখেন?
শুভজিৎ: পাত্র-পাত্রীরা প্রোফেশনাল অভিনেতা নন। সেই বিষয়টাকে অবশ্য়ই মাথায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা ক্যামেরা সামনে কীভাবে সঠিক পোজ, এক্সপ্রেশন কেমন হবে তা দেখিয়ে দেওয়া হয়। প্রিওয়েডিং বা ওয়েডিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও আলাদা গল্প বলার চেষ্টা করি না আমরা। বরং পাত্র ও পাত্রীর রোজকার গল্পই তুলে ধরা হয়। বিয়েতে যা যা ঘটে তাকে সিনেমার মতো করে তুলে ধরার চেষ্টা করি। যা সারাজীবন মনের কোণায় জায়গা করে নেয়।
মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে একটা বাজেট প্ল্যান করে দিন…
শুভজিৎ: মধ্যবিত্তরা সারাজীবনের একটা বড় সঞ্চয় বিয়েতে খরচা করে, ভেন্যুতে খরচা করে, সাজসজ্জায় খরচা করে, গয়না কেনায় খরচা করে, ডেস্টিনেশনে খরচা করে। তার ১০ শতাংশও ফটোগ্রাফিতে খরচা করে না। আমি বলব, এই খরচার ১০ থেকে ১৫ শতাংশই যদি খরচা করা যায়। তাহলে আউটপুটটা দারুণ হবে। আসলে সব কিছু হারিয়ে যাবে, কিন্তু এই সুন্দর স্মৃতিটাই রয়ে যাবে। তাই একটা ক্রিয়েটিভ ফটোগ্রাফি খুবই প্রয়োজন। এখানে বলতে চাই ফটোগ্রাফির সময় একটু মন খুলে খরচা করুন। প্রিমিয়াম ফটোশুটের জন্য, খরচাটাও তো সেরকমই হওয়া দরকার তাই না!
যোগাযোগ করুন এই ঠিকানায়-
Subhajit Banik
www.birdlenscreation.com
Mobile – 8910575255
Adress -123 canal street Laketown Sreebhumi
Kolkata-700048
Facebook: birdlenscreation
Instagram: birdlenscreation