অমিত সিং দেও, মানবাজার: জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায় ভোটের কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেও তা নজিরবিহীনভাবে তুলে নিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্র কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভোটের কাজে ওই বাহিনীকে পাঠানো হচ্ছে। ফলে পুরুলিয়ায় এবার গ্রাম ঘুরে ভোটারদের অভয় দিচ্ছে রাজ্যের পুলিশই।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ফেরাতে এল বাস। নিজস্ব ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই জঙ্গলমহলের এই জেলায় কমিশনের নির্দেশে শুরু হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। মাওবাদী দমনে পুরুলিয়ায় ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। যার মধ্যে ৭ কোম্পানি ভিন জেলায় নির্বাচনের কাজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অবশিষ্ট তিন কোম্পানি বাহিনীকে নির্বাচনের কাজে পুরুলিয়ায় (Purulia) থেকে যায়। তাদের নিয়েই গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলার ২৩ থানা এলাকায় গ্রামে ঘুরে বুথ পরিদর্শনের পাশাপশি ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটদানের অভয় দিচ্ছিলেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। পরে আরও এক কোম্পানি সিআরপিএফ (CRPF) অসম থেকে পুরুলিয়ায় আসে। অর্থাৎ মোট চার কোম্পানি বাহিনী জেলার সমস্ত থানায় রুট মার্চ চালাচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় নববর্ষের প্রাক্কালে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী, পুজো দিলেন নকুলেশ্বর মন্দিরেও]
কিন্তু সম্প্রতি কমিশনের নির্দেশ আসে পুরুলিয়ার চার কোম্পানি বাহিনীকেই প্রথম দফা নির্বাচনের জন্য উত্তরবঙ্গে পাঠাতে হবে। সেই মতো বাহিনীকে নিতে শনিবার উত্তরবঙ্গ থেকে পুরুলিয়ায় আসে বেশ কয়েকটি বাস ও ছোট গাড়ি। এদিন সেই সমস্ত গাড়ি পৌঁছে যায় বান্দোয়ানের কুঁচিয়া, বলরামপুরের পাথরবাঁধ, বাঘমুন্ডির সুইসা ও রঘুনাথপুরের চেলিয়ামাতে থাকা শিবিরে। বাহিনী সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে এই চারটি ক্যাম্পের জওয়ানরা উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বাহিনী রোজ কোথায় কী করছে, দিনশেষে সেই রিপোর্ট দিতে হয় কমিশনে। কিন্তু যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীই নেই, সেখানে রিপোর্টেরও প্রশ্ন নেই। এনিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
[আরও পড়ুুন: প্রচারে বেরিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনে মেজাজ হারালেন অধীর, যুবককে চড়!]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চেলিয়ামাতে শুধু মাত্র অস্থায়ী শিবির বানানো হয়েছিল। কিন্তু বাকি তিনটি স্থায়ী শিবির মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় হওয়ায় সেগুলিতে রবিবার থেকে মোতায়েন থাকবে রাজ্য পুলিশ (WB Police)। ফলে মাওবাদী দমনে এই জেলায় ১০ টি কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী শিবির আপাতত সামাল দেবে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুপস্থিতে রবিবার থেকে রাজ্য পুলিশের কর্মীরা প্রত্যেক থানা এলাকায় রুট মার্চ করবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।