পেটে খেলে পিঠে সয়। তবে পিঠে কারে কয়? চাল বাটা, ডাল বাটা, নারকেল ও মিষ্টি সহযোগে যে মিষ্টান্ন প্রস্তুত করা হয়, তা হল পিষ্টক। তাই এখন পিঠে নামে পরিচিত। আর দুধ যোগ হলে তা হল পুলি। তবে ভাজা পিঠে পুলির মতো দেখতে হলেও তা মিষ্টি-নোনতা দু’প্রকারেরই হতে পারে। চালের গুঁড়োকে আগে বলা হত পিটুলি। সেখান থেকেই বোধহয় পিঠের নামকরণ হয়েছে। পৌষ মাসে বাংলার ঘরে ঘরে পিঠেপুলি আর তৈরি হয় পায়েস। এই ছিল নিয়ম।
[গোলমরিচের প্রভাবে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন]
তবে সময় পালটেছে। জীবনের ইঁদুর দৌড়ে এখন অনেক বাড়িতেই কেনা পিঠেই ডাইনিং টেবিলে জায়গা করে নেয়। অবশ্য পুরনো সেই দিন ফিরিয়ে আনাই যায়। আরও একবার তৈরি করা যায় দুধ-সুজির রসমাধুরী কিংবা নারকেলের পুলি। রেসিপি আপনাদের জন্য রইল সোজা সুদীপা’র রান্নাঘর থেকে।
দুধ-সুজির রসমাধুরী
উপকরণ-
- দুধ ২ কাপ
- নুন ১ চিমটে
- ঘি পরিমাণ মতো
- এলাচ গুঁড়ো ১ চিমটে
- সুজি ১ কাপ
- ছানা আধ কাপ
- চিনি ও জল রস তৈরির জন্য
- সাদা তেল ভাজার জন্য
পদ্ধতি-
চিনি আর জল ফুটিয়ে রস করে নিন। দুধ একটা পাত্রে ফুটতে দিন। এবার সুজি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এমনভাবে নাড়বেন আটা মাখার মতো মণ্ড হবে। এবার নামিয়ে ঠান্ডা করে ঘি ও ছানা দিয়ে ভাল করে মাখুন অনেকটা সময় ধরে। মোলায়েম মাখা হলে ফুল, পাতা মনের মতো আকারে গড়ে সাদা তেলে ভেজে রসে ফেলুন।
[এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় সরষের তেল থেকে দূরে থাকুন]
নারকেলের পুলি
উপকরণ-
- চালের গুঁড়ো ছোট ২ কাপ
- ময়দা ১ কাপ
- চিনি ১ কাপ
- দুধ ২৫০ গ্রাম
- খোয়াক্ষীর অল্প
- নলেন গুড় অল্প
- নারকেল কোরা আধ মালা
- পাটালি গুড় আন্দাজমতো
পদ্ধতি-
নারকেল কোরা আর গুড় ভাল করে কড়াইতে পাক করুন। পুর তৈরি হলে ঠান্ডা হতে দিন। দুধ ফোটান আলাদা পাত্রে। চিনি, চালের গুঁড়ো, ময়দা নিন। দুধ দিয়ে ভাল করে মাখুন। এবার নারকেলের পুর ভরে পুলির আকারে গড়ুন। ঘন ফোটানো দুধে পুলি দিয়ে ফুটিয়ে খোয়াক্ষীর দিন। শেষে গুড় ঢেলে নামান।
[কীসের টানে সাগরে পুণ্যস্নানে ছোটেন লক্ষ লক্ষ মানুষ?]
The post সংক্রান্তির আগেই তৈরি করে ফেলুন দুধ-সুজির রসমাধুরী, নারকেলের পুলি appeared first on Sangbad Pratidin.