সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু প্রাচীন এক কথা – নরকে নাকি পাপী মানুষজনকে কড়াইতে ফেলে ভাজা হয়! আর স্বর্গত মানুষজনের ঠাঁই হয় সুবাসিত ‘অমরাবতী’তে। আদৌ স্বর্গ-নরক আছে কি না, তবে বাস্তব পরিস্থিতিতে এই পৃথিবীকেই নরকের রূপ দিতে পারে মানুষের নৃশংস কার্যকলাপ। ঠিক যেমনটা ঘটল পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধ প্রদেশে। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর কড়াইতে ফেলে সেদ্ধ (Boil) করল স্বামী! একেবারে ঠান্ডা মাথায় ঘটানো এহেন নারকীয় কাজের সাক্ষী তার ৬ সন্তান। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে থরথর করে কাঁপছে বাচ্চারা। পুলিশের নজর এড়িয়ে এখনও পলাতক অভিযুক্ত স্বামী।
ঘটনা বুধবারের। সিন্ধের (Sindh Province) গুলশন-ই-ইকবাল এলাকার এক স্কুলের রান্নাঘরে ঢুকে শিউরে ওঠার মতো এক দৃশ্য চোখে পড়ে তদন্তকারীদের। দেখা যায়, সেখানকার রান্নাঘরে বিশালাকার কড়াইয়ের মধ্যে এক নারীর মৃতদেহ কার্যত সেদ্ধ করা হচ্ছে! দুঁদে তদন্তকারীরাও ঘাবড়ে যান। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যায়, ওই মহিলার নাম নার্গিস। তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয় প্রথমে। তারপর এইভাবে কড়াইয়ে ফেলে শরীরের চামড়া সেদ্ধ করারও পরও আক্রোশ যায়নি খুনির। সেদ্ধ অবস্থায় মৃতের একটি পা টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। মাকে এমন নারকীয়ভাবে খুনের দৃশ্য দাঁড়িয়ে থেকে দেখল ৬ সন্তান।
[আরও পডুন: অতিমারীর মধ্যেই এবার মাঙ্কিপক্সের থাবা দেশে, কেরলে সন্ধান মিলল প্রথম আক্রান্তের]
সিন্ধের পুলিশ কর্তা আবদুল করিম শেরাজি এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, এসব কাণ্ডের পর তিন সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায় নার্গিসের অভিযুক্ত স্বামী আশিক। তারপর পুলিশে খবর দেয় তার ১৫ বছরের মেয়ে। বাচ্চাদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। ভয়ংকর ঘটনার ধাক্কা সামলাতে না পেরে এখনও ভয়ে কাঁটা তারা। কিন্তু কী এমন ঘটল যে এতটা নৃশংসভাবে স্ত্রীকে খুন করতে হাত কাঁপল না আশিকের? পুলিশের অনুমান, নার্গিস-আশিকের মধ্যে দাম্পত্য অশান্তি ছিল। গুলশন-ই-ইকবাল এলাকার এক বেসরকারি স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী আশিক পরিবার নিয়ে থাকত স্কুলেরই আবাসনে। স্ত্রীকে সে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের (Ilicit Affairs) জন্য চাপ দিত। তাতে রাজি ছিলেন না নার্গিস। এ নিয়েই অশান্তি চলত।
[আরও পডুন: রাস্তা মেরামতির দাবিতে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, পরিস্থিতি সামলাতে ওসির ‘দাদাগিরি’!]
অশান্তির মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে গেল বুধবার রাতে। বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে খুনের পর সোজা দেহ নিয়ে কড়াইতে সেদ্ধ করল আশিক। এই ঘটনার কিনারায় এখন পুলিশের একমাত্র ভরসা সন্তানদের বয়ান। কিন্তু ট্রমা কাটিয়ে তারা কতটা ঘটনার বিবরণ দিতে সক্ষম, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। অভিযুক্ত আশিককে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ।