সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমুদ্রের গভীরে কত বিচিত্র প্রাণীর যে বাস! যেমন রংবাহারি তাদের চেহারা, তেমনই আশ্চর্য সব হাবভাব। কিন্তু সব সময়ই যে দেখতে বিপজ্জনক মনে হবে তা নয়। কিন্তু লায়নফিশ (Lionfish) নামের সামুদ্রিক মাছটিকে (Sea fish) দেখতে যেমন ভয়ংকর, সেটি স্বভাবেও তাই। ব্রিটেনের সমুদ্রে এক মৎস্যজীবী ধরলেন এমনই একটি লায়নফিশকে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম ব্রিটেনে দেখা মিলল পৃথিবীর অন্যতম প্রাণঘাতী এই প্রাণীটির।
কিন্তু এই মাছটিকে দেখলে সবাই থরহরি কম্পমান হয়ে যায়। আসলে এই মাছটির মধ্যে শত্রুকে ঘায়েল করার এমন শক্তি রয়েছে যা তাজ্জব করে দেয়। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রের বাসিন্দা এই মাছ যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত। মাত্র ৬ ইঞ্চির এই মাছকে ছুঁলেই অবধারিত মৃত্যু। কিংবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়তে হবে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এর কাছাকাছি না যাওয়াই ভাল।
[আরও পড়ুন: সাড়ে তিনশো বছর ধরে বৃহস্পতির বুকে চলছে ভয়ংকর ঝড়! গতি কত জানেন?]
রংবাহারী এই বিভীষিকার হরেক রকম নাম। কেউ একে ডাকে জেব্রাফিশ বলে। আবার কেউ বলে ফায়ারফিশ। এছাড়াও টার্কিফিশ কিংবা বাটারফ্লাই-কড নানা নামেই একে চেনে সবাই। লালা, সাদা, কালো নানা রঙের বাহারে এই মাছ রীতিমতো রূপবান। কিন্তু রূপে যেমন এরা ভোলাতে পারে, মুহূর্তের দংশনেও তা পারে।
এমনই এক বিপজ্জনক প্রাণীই এবার ধরলেন ৩৯ বছরের ওই মৎস্যজীবী। তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন চেশিল সৈকতে। মাছটি ধরা পড়ার পর তিনি তাজ্জব হয়ে যান তাঁর চোখ ধাঁধানো রূপ দেখে। তবে যাকে ধরেছেন সেটি যে কতটা বিপজ্জনক, সেসম্পর্কে তাঁর কিংবা তাঁর বাবার ততটা আইডিয়া ছিল না। পরে অবশ্য প্রকাশ্যে আসে লায়নফিশের স্বরূপ। ‘দ্য সান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই মৎস্যজীবীর বাবা হাঁফ ছেড়ে জানিয়েছেন, ”মাছটা যে আমার ছেলেকে দংশন করেনি এটা ভেবে আমি আনন্দিত। যদি সত্যিই এটা এর আগে কারও জালে না ধরা পড়ে থাকে, তবে তা নিঃসন্দেহে আনন্দের কথা।”