সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার দশকের ট্র্যাডিশন বজায় রেখে মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলেও ফের সেরাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে এনপিপি-বিজেপি (BJP) জোট। ইতিমধ্যেই এনপিপিকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন মেঘালয়ের বিজেপি সভাপতি।
ভোটে আলাদা আলাদা লড়লেও প্রয়োজন পড়লে যে তারা ফের এক হয়ে যেতে পারে, সে ইঙ্গিত ভোটের আগেই দিয়ে রেখেছিল বিজেপি এবং এনপিপি (NPP)। সেই মতো ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার ইঙ্গিত মিলতেই কনরাড সাংমা (Conrad Sangma) সোজা ফোন করেন অমিত শাহকে (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তখনই তাঁকে সমর্থন করার আশ্বাস দেন। সেই মতো বিজেপির রাজ্য সভাপতি এনপিপিকে সমর্থনের চিঠি দিয়ে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ১৫% সুদে লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরতের টোপ! গোপাল-হৈমন্তীর চিটফান্ড সংস্থার তথ্য যাচাই CBI-এর]
৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৩১। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি পেয়েছে ২৬টি আসন। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। এই দু’টি আসন নিয়েই ফের সরকারের শরিক হতে চলেছে গেরুয়া শিবির। সমস্যাটা হল, বিজেপির (BJP) দুই আসন যোগ করলেও ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে আরও কয়েকটি আসন প্রয়োজন কনরাডের। আগেরবারের আরেক জোট সঙ্গী ইউডিপি এবার আগের তুলনায় অনেক ভাল ফল করেছে। ১১টি আসন নিয়ে প্রধান বিরোধী দল তাঁরাই। এনপিপি চাইলে ইউডিপির (UDP) সমর্থন চাইতেই পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে জটিলতা বাড়বে। কারণ ইউডিপি দীর্ঘদিন ধরে খাসি এলাকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানিয়ে আসছে। আর কনরাড নিজে গারো এলাকার। তাই তাঁদের বাদ দিয়েই সরকার গঠনের চেষ্টা করতে হবে এনপিপি সুপ্রিমোকে।
[আরও পড়ুন: ত্রিশঙ্কু মেঘালয়ে বৃহত্তম দল NPP, খাতা খুলল তৃণমূল]
শোনা যাচ্ছে আপাতত ভয়েস অফ পিপল পার্টি আর হিল স্টেট পিপলস পার্টির মোট ৬ বিধায়কের দিকে নজর রয়েছে তাঁর। কিন্তু সেক্ষেত্রে সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় থাকবে। তবে কোনওভাবেই কনরাড তৃণমূলের সমর্থন চাইবে না। কারণ মুকুল সাংমা (Mukul Sangma) তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আর বিজেপি জোটে থাকাই কংগ্রেসের কাছেও হাত পাততে পারবেন না তিনি। যা পরিস্থিতি তাতে দুই আসন নিয়েই ফের মেঘালয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হতে চলেছে বিজেপি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ফের বিজেপির উপর নির্ভর করতে হবে কনরাড সাংমাকে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ২০১৮ নির্বাচনে।