সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রচার। এবছর তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াবেন মিমি চক্রবর্তী। তাই বিরসা দাশগুপ্তের পরের ছবিতে তিনি অভিনয় করতে পারবেন না।
পরিচালকের পরের ছবি ‘বিবাহ অভিযান’-এ অভিনয় করার কথা ছিল মিমি চক্রবর্তীর। প্রধান চরিত্রেই অভিনযের অফার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করতেন অঙ্কুশ হাজরা। কিন্তু ছবি থেকে সরে এসেছেন মিমি। কারণ, সামনের লোকসভা নির্বাচন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উপর তাঁর শ্রদ্ধা রয়েছে। সেই কারণেই তিনি ছবি থেকে সরে এসেছেন। কারণ, ভোটের প্রচারের ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যে তিনি কতটা ছবির জন্য সময় দিতে পারবেন, তা নিয়ে দোটানায় রয়েছেন মিমি। ছবির তাতে ক্ষতি হতে পারে। সেই কারণেই সরে এসেছেন তিনি। ছবির গোটা টিমকে কাজের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে, সরে এসেছেন অভিনেত্রী।
[ শুরু করতে হবে ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবির প্রদর্শন, রাজ্যকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের ]
‘বিবাহ অভিযান’ ছবির গল্প আপাদমস্তক বাঙালিয়ানায় মোড়া। দুই প্রিয় বন্ধুর গল্প। একজন বয়সে একটু বড়, তার সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছে। শ্যামবর্ণ সেই সঙ্গে খর্বকায় বলে একটু বেশি সময়ও লেগেছে তার বিয়ে হতে। এই চরিত্রে অভিনয় করছেন রুদ্রনীল। আর বন্ধুর ভূমিকায় রয়েছেন অঙ্কুশ। সে আবার ভবানীপুরের ফরসা, গোবেচারা যুবক। এককথায় সরল, আদ্যপান্ত বাঙালি, পাড়ায় যার সুবোধ বালক হিসেবে নামডাক। তাঁর সঙ্গে প্রেম হয় এক ডাকাবুকো, ঠোঁটকাটা মেয়ের। রুদ্রর সঙ্গে যার সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছে সে হল সোহিনী। এই মেয়েটি শাখা-পলা, সিঁদুর পরা ঠাকুরভক্ত, সিরিয়াল যার ধ্যানজ্ঞান। ওদিকে তার বর রুদ্র খুব লজিক্যাল। নিজের কমপ্লেক্স থেকে সে সাজে বেশি, চাকরি ভালই করে, খুব হেল্পফুলও। অন্যদিকে অঙ্কুশের যার সঙ্গে প্রেম হয় সেই চরিত্রটা করার কথা ছিল মিমির। লেট কলেজ লাইফের ভালবাসা। অঙ্কুশ দেখে একটি মেয়ে কুকুর নিয়ে আন্দোলন করছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাক্টিভ এবং প্রতিবাদী এই মেয়ে। জিনস কুর্তা পরে, মিনিম্যালিস্ট সাজ তার। এমন একজন ছেলেকে বিয়ে করতে চায় যে রান্না করবে, এদের প্রেম হয়ে যায়। এভাবেই এগোবে ছবির গল্প।
[ কে আসল, কে নকল! দীপিকার ইনস্টাগ্রাম ছবি দেখে নেটদুনিয়া মেতেছে সেই প্রশ্নেই ]
The post ভোটপ্রচারে ব্যস্ত, তাই ‘বিবাহ অভিযান’ থেকে সরে গেলেন মিমি appeared first on Sangbad Pratidin.