সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনার কথা শোয়া যায় মাঝেমধ্যেই। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আরও সতর্ক বিদ্যুৎ দপ্তর। কন্ট্রোল রুম থেকে রাতভর নজরদারি চালালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। এর আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। বৃষ্টির সময় সতর্ক থাকার কথাও বলেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত থেকে দুর্যোগ যে বাড়তে চলেছে সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সে কথা মাথায় রেখেই মঙ্গলবার সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নবান্ন এবং বিদ্যুৎ ভবনে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। বিদ্যুৎ দপ্তরের সমস্ত আঞ্চলিক অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়াও এসএমএসের মাধ্যমে কমপক্ষে ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে উত্তর কলকাতায় বড়সড় বিপত্তি, ভাঙল বাড়ি, আটকে একরত্তি]
বিদ্যুৎ বিপর্যয় রুখতে বিদ্যুৎ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসক, রিজিওনাল ম্যানেজাররা যোগাযোগ রাখছেন। বিদ্যুৎ বিপর্যয় সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা জানানো যাবে টোল ফ্রি নম্বরে। নম্বরটি হল: ১৯১২১। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও করা যাবে যোগাযোগ। নম্বর দু’টি হল: ৮৯০০৭৯৩৫০৪ ও ৮৯০০৭৯৩৫০৩।
ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাবে’র কাঁটায় বাংলা বিদ্ধ হয়নি। তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি রাজ্যের পিছু ছাড়ছে না। মঙ্গলবার রাতভর টানা বৃষ্টিতে ভেজে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। তার উপর আবার গঙ্গায় জোয়ারের জন্য বুধবার ভোর থেকে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল লকগেট। পুরসভা সূত্রে খবর, বিকেল পৌনে পাঁচটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত লকগেট বন্ধ থাকবে। তার ফলে গঙ্গার জলস্তর ১৪ ফুটেরও বেশি হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই জলমগ্ন কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, বিটি রোড, সিঁথির মোড় জলমগ্ন। নিউ আলিপুরে রাস্তায় ভেঙে পড়েছে গাছ। রাস্তায় যান চলাচলের গতি কিছুটা শ্লথ।