shono
Advertisement

মোদি বিরোধিতার নামে কংগ্রেস দেশের বিরোধিতা করবে, কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

মোদির অভিযোগ, কংগ্রেস কুমিরের কান্না কাঁদে।
Posted: 07:21 PM May 27, 2018Updated: 07:37 PM May 27, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলির উপর নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেছে, মূলত সেই দলগুলিকেই টার্গেট করেছেন তিনি। তার মধ্যে প্রথম এবং প্রধান অবশ্যই কংগ্রেস। মোদি বলেছেন, “রাজনীতি নিয়ে খেলার একটা সীমা পরিসীমা রয়েছে।”

Advertisement

[ মন্ত্রিত্ব বণ্টন নিয়ে কংগ্রেস-জনতা দল কোন্দল! প্রশ্নে জোটের ভবিষ্যৎ ]

মোদি আরও বলেছেন, “দরিদ্র দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য যা কাজ হয়েছে, সবকিছুকেই তামাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস। তারা উন্নয়নের কাজের পথে অন্তরায় তৈরি করেছে এবং সেগুলির উপর অশ্রদ্ধা দেখিয়েছে। ওরা মনে করে মহিলাদের জন্য টয়লেট নির্মাণ, স্বচ্ছ্ব ভারত, এলপিজি কানেকশন দেওয়া, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা, সব কিছুই তামাশা। একজন, যে রাজনীতির রাজবংশের সদস্য, মনে করে সব কিছুই প্রহসন। জানে না, যে ওরা ভারতের বিরোধিতা করবে ও উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেবে। শুধু মোদিকে বিরোধিতা করার জন্যই ওরা এমন করবে। ওদের জন্য পরিবার হল দেশ। আর আমার জন্য দেশ হল পরিবার। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে একথা বলছি। যারা লোভী, তারাই রাজনীতির জন্য কুমিরের কান্না কাঁদে। তারা আত্মতুষ্টির জন্য রাজনীতি করে। কিন্তু যে সত্যিই আপনাদের কথা ভাবে, উন্নয়ন করে।”

[ কাশ্মীরে সিবিএসই পরীক্ষায় প্রথম বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার মেয়ে ]

তবে মোদি এখানেই থেমে যাননি। দলিতদের উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন তিনি। জানান, দলিতদের বিরুদ্ধে যে নৃশংসতা চলছে, তার জন্য বিশেষ আদালত স্থাপন করা হয়েছে। কংগ্রেস প্রকাশ্যে মিথ্যে কথা বলছে বলে অভিযোগ তোলেন মোদি। এমনকী কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

কর্ণাটক নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে চাপানউতোর বেড়েছে। নির্বাচনের প্রচারের সময় কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছিল, মোদি যে ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তা তাঁকে মানায় না। এই নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থও হয়েছিল কংগ্রেস। তার উপর কর্ণাটক নির্বাচনের পর একক বৃহত্তম দল হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় তাদের। রাজনীতির দুনিয়ায় এমন কাণ্ডের পর মোদির যে সেই সবেরই ক্ষোভ ও তার বহিঃপ্রকাশ, এমন মন্তব্যও করছে অনেকে।

আজ দিল্লি-মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ মোট ৮৪১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে এই সড়ক। এখানে মোট ১৪টি লেন রয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে দিল্লি ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও ভাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement