সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আনোয়ার আলির নির্বাসনে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে ইস্টবেঙ্গল। সেই মামলায় আবেদনকারীর তালিকায় আছে দিল্লি এফসি, আছেন আনোয়ারও। এবার এই পদক্ষেপের পাল্টা হিসাবে ফেডারেশন ও এএফসি-র কাছে ইস্টবেঙ্গলের শাস্তির দাবি জানিয়ে চিঠি দিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)।
সবুজ-মেরুন শিবিরের বক্তব্য, ফেডারেশনের অ্যাপিল কমিটি বা সিএএস-এর কাছে আবেদন করার পরিবর্তে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এই তিন পক্ষ। যে পদক্ষেপ ফেডারেশন ও এএফসি-র নিয়মের বিরোধী। তাই ওই রিট পিটিশনে আবেদনকারীর তালিকায় থাকা আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি-র কঠিন শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে মোহনবাগানের তরফে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টে একযোগে পিটিশন দায়ের করে তিন পক্ষ।
[আরও পড়ুন: ‘নির্বাসিত’ আনোয়ারকে নিয়েই ম্যাচ খেলতে গেলেন কুয়াদ্রাতরা]
গত মঙ্গলবার ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়, মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের কারণে বড়সড় শাস্তি পেতে চলেছেন জাতীয় দলের তারকা ডিফেন্ডার। সদ্য ইস্টবেঙ্গলে সই করা ডিফেন্ডারকে আগামী ৪ মাসের জন্য খেলতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি প্রাক্তন ক্লাব মোহনবাগানকে ১২ কোটি ৯০ লক্ষা টাকা জরিমানা দিতে হবে। তবে যৌথভাবে জরিমানার অঙ্ক মেটাতে হবে আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিকে।
আনোয়ারের জরিমানা মেটানো ছাড়াও বিরাট শাস্তির মুখে পড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ফেডারেশন সাফ জানিয়ে দেয়, আগামী দুটি রেজিস্ট্রেশন পিরিয়ড থেকে কোনও নতুন ফুটবলার নিতে পারবে না লাল-হলুদ শিবির। যেহেতু দিল্লি এফসি থেকে লোনে মোহনবাগানে যোগ দিয়েছিলেন আনোয়ার, তাই শাস্তির আওতায় পড়েছে রঞ্জিত বাজাজের ক্লাবও। ইস্টবেঙ্গলের মতোই আগামী দুটি রেজিস্ট্রেশন পিরিয়ড থেকে নতুন ফুটবলারদের দলে নিতে পারবে না দিল্লি।
ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তে আপাতত স্থগিতাদেশ চেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মোহনবাগানের অভিযোগ, ফেডারেশনের অ্যাপিল কমিটিতে আবেদন না করে যেভাবে সোজা আদালতে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল সেটা নিয়মবিরুদ্ধ। সেই জন্যই আবেদনকারী তিন পক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হোক বলে ফেডারেশনের কাছে দাবি জানিয়েছে মোহনবাগান।