সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের (Myanmar) ক্ষমতা দখল করে সেনা। ফেলে দেওয়া হয় নির্বাচিত সরকার। তার পর থেকেই সেনার নির্দেশে গৃহবন্দি মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি (Aung San Suu kyi)। ক্যু-এর প্রায় চার মাস পর এই প্রথমবার তাঁকে আদালতে তোলা হল। সেখান থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে দিলেন বার্তা। কী বললেন মায়ানমারের নেত্রী?
সোমবারই আদালতে সশরীরে হাজিরা দিয়েছিলেন সু কি। সেখান থেকে নিজের আইনজীবীর মারফত দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি। বলেন, “মানুষ যত দিন আছে ততদিনই ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি থাকবে। কারণ এই দল মানুষের জন্য তৈরি হয়েছে।” নির্বাচনে জালিয়াতি করার অভিযোগে সু কি’র দল ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে জুন্টা। এমন আবহে দল ভাঙছে না বলে সুস্পষ্ট বার্তা দিলেন সু কি। এদিন তাঁর আইনজীবী মিন মিন সো জানান, “নেত্রী সুস্থ, সবল আছেন। ক্ষমতায় ফেরার বিষয়েও যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী তিনি।” আইনজীবী আরও জানান, দেশবাসীর সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাজতে চলেছে যুদ্ধের দামামা? তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকল চিনা যুদ্ধবিমান]
উল্লেখ্য, সু কি’র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক দুর্নীতি, ভোটে কারচুপি এমনকী ভোটপ্রচারে করোনাবিধি ভাঙারও অভিযোগ রয়েছে নোবেল প্রাপক এই নেত্রীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের শুনানি শুরু হয়েছে আদালতে। আগামী শুনানি ৭ জুন। এদিন শুনানির আগে আইনজীবীর সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক সারেন সু কি।
উল্লেখ্য, গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরেছিলেন আং সান সু কি’র (Aung San Suu Kyi) দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সু কি সরকারের। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও করেছে সামরিক ‘জুন্টা’। এরপরই ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট জানিয়েছিলেন আচমকা কাউন্সিলর সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করেছে সেনাবাহিনী।