সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির মতো তাবড় অভিনেতা। শুটিং সেটে তাঁকেও কিনা হেনস্তার শিকার হতে হয়! জল চাইলে পাত্তা দেয়নি স্পটবয়। এমনকী সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের সঙ্গে বসে এক টেবিলে খেতে চাইলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় নওয়াজকে।
এই ঘটনা অবশ্য নওয়াজউদ্দিন তারকা হয়ে ওঠার আগের ঘটনা। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ‘গ্যাংস অংফ ওয়াসেপুর’ সিনেমার পর থেকেই রাতারাতি বড়সড় ব্রেক পান নওয়াজ। এর আগে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রীতিমতো জুতোর শুকতলা খুঁইয়ে প্রযোজকদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হল অভিনেতাকে। ‘গ্যাংস অংফ ওয়াসেপুর’-এর পর অবশ্য সেই দৃশ্য বদলে যায়। কিন্তু তারকা হয়ে ওঠার আগে শুটিংয়ে গিয়ে ঘাড় ধাক্কা খেতে হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ‘ছেলেকে’ হারালেন যশ-নুসরত! ‘পরপারে দেখা হবে..’, লিখলেন অভিনেত্রী]
কী ঘটেছিল? সেই ঘটনাই এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। অভিনেতা জানান, সেইসময়ে যেসব সিনেমায় কাজ করেছিলেন, সেগুলোর দু’-একটা কাজের পারিশ্রমিক পুরোটা এখনও পাননি। শুধু তাই নয় একবার সেটে ভয়ংকর হেনস্তা হতে হয় নওয়াজউদ্দিনকে। অভিনেতা জানান, “ছোটখাট কাজ করতাম ঠিকই। কিন্তু অহমবোধটা চিরকালই ছিল। অজস্রবার আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে সেটে। স্পটবয়কে জল দিতে বলেছিলাম। ও পাত্তা না দিইয়ে মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়। তারপর নিজেই নিজের জলের ব্যবস্থা করতে হয় আমাকে। বলিউডে অনেক প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে, যাঁরা দু’বেলা খাবারের সময় নায়ক-নায়িকা আর কলাকুশলীদের মধ্যে ভেদাভেদ করে। জুনিয়র আর্টিস্টদের আলাদা খেতে বসানো হয়। সহ-অভিনেতারা আলাদা বসে আর সিনেমার মুখ্য চরিত্রদের জন্য আলাদা আয়োজন করা হয়।”
[আরও পড়ুন: ‘লজ্জা! এই দায় কার?’, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে কেন্দ্রকে কটাক্ষ বিবেক অগ্নিহোত্রীর!]
এরপরই নওয়াজউদ্দিন বলেন, “সহ-অভিনেতা হিসেবে যখন অভিনয় করতাম, তখন প্রায়ই হিরো, হিরোইনদের সঙ্গে খেতে বসতে চাইতাম। সেটা কখনও সম্ভব হয়নি তখন। এমনকী একবার তো এরকম কথা বলায়, আমাকে কলার ধরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। আমার প্রচণ্ড রাগ হয়েছিল। আমার মনে হয়, সব অভিনেতাদের সমান সম্মান দেওয়া উচিত। তবে হ্যাঁ, যশরাজ ফিল্মস-এ কিন্তু সবাই একসঙ্গে বসে খায়। ওরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।”