সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট কাণ্ডে (NEET) এবার জঙ্গি যোগ! বিপুল টাকা বিনিময়ে নিটের প্রশ্ন বিক্রি করে সেই টাকার বড় অংশ পাঠানো হয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের কাছে। এমনটাই সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। নিট প্রশ্নফাঁস মামলায় মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ে অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড (ATS) ৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। রবিবার রাতে তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এরপরই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
নিট মামলার তদন্তে রবিবার রাতে লাতুর থেকে দুই শিক্ষককে আটক করেছিল মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড। অভিযুক্ত দুজনের নাম সঞ্জয় তুকারাম যাদব ও জলিল উমরখাঁ পাঠান। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর সঞ্জয়কে মুক্তি দেয় তদন্তকারীরা। তবে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় জলিলকে। তাঁকে তদন্তকারীদের করে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে রয়েছে জঙ্গিযোগ। লক্ষ লক্ষ টাকায় প্রশ্ন বিক্রি করে সেই টাকার একটা বড় অংশ জঙ্গিদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা তদন্তকারীদের। এদিকে নিট কাণ্ডে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে ইডির হাতে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গত ১০ জুন শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি হয়। যদিও শীর্ষ আদালতের তরফে এই বিষয়ে এখনই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাড়াহুড়ো করে এখনই এই মামলার তদন্তভার ইডির হাতে দিতে অসম্মতি জানায় শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নিট বিতর্কের মাঝেই এবার UPPSC! প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে যোগীরাজ্যে গ্রেপ্তার ৬]
অন্যদিকে, এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে ওঠার পর গত ২৩ জুন নিট কাণ্ডে প্রথম এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে বিহার থেকে ২ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবারই দিল্লি আনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বিহারের পাশাপাশি এই কাণ্ডে উঠে এসেছে গুজরাটের গোধরা যোগ। দুই রাজ্যে তদন্ত চালিয়ে যেতে সিবিআইয়ের তরফে দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। নিট কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিহার পুলিশ। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
[আরও পড়ুন: ফাইলের বোঝা অতীত! ফোনেই থাকবে কেস ডায়েরি, নয়া অ্যাপ আনছে কলকাতা পুলিশ]
এছাড়া এনটিএতে সংস্কারের লক্ষ্যে ইসরোর প্রাক্তন আধিকারিক-সহ ৭ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। সোমবার হতে চলেছে সেই কমিটির প্রথম বৈঠক। উল্লেখ্য, সাত সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. কে রাধাকৃষ্ণন, এইমস দিল্লির প্রাক্তন ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বি জে রাও, আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপক রামমূর্তি কে, কর্মযোগী ভারতের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পঙ্কজ বনসল, আইআইটি দিল্লির ডিন আদিত্য মিত্তল এবং শিক্ষা মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব গোবিন্দ জয়সওয়াল। উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি যে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে, সেগুলি হল পরীক্ষা পদ্ধতি, তথ্যের গোপনীয়তা, ন্যাশনাল টেস্ট এজেন্সির কার্যক্রম এবং কর্মপদ্ধতি। আগামী দুই মাসের মধ্যে মন্ত্রককে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি।