সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বা চিনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি থাকলেও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে কোনও সমঝোতা করবে না নেপাল। বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গেওয়ালির ভারত সফরের ঠিক দু’দিন আগে এই মন্তব্য করে ফের বিতর্ক উসকে দিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
আগামী ১৪ জানুয়ারি ভারত সফরে নয়াদিল্লিতে আসছেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গেওয়ালি (Pradeep Gyawali)। এই সফরের সময় নেপালের সঙ্গে যে সীমান্ত বিবাদ লেগেছে, নয়াদিল্লি তা মেটানোর বিষয়ে আলোচনা করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ঠিক তখনই একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কেপি শর্মা ওলি (K P Sharma Oli) বলেন, ‘চিন বা ভারতের জায়গা দাবি করব এই রকম অবস্থার মধ্যে আমরা নেই। কিন্তু, নিজেদের জায়গার বিষয়ে আমরা নিশ্চয় আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলব। লিম্পিয়াধুরা, লিপুলেখ ও কালাপানি নেপালের জায়গা। এগুলি নেপালের অত্যন্ত পবিত্র জায়গা। তাই চিন বা ভারতের সঙ্গে যতই আমাদের সম্পর্ক থাকুক দেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে আমরা কোনও সমঝোতা করব না।’
[আরও পড়ুন: জোরাল হচ্ছে পদত্যাগের দাবি! পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’-এর ডাক বিরোধীদের]
রবিবার সকালে কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বাসভবনে মন্ত্রিসভার একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে কালাপানি (Kalapani), লিম্পিয়াধুরা ( Limpiyadhura), লিপুলেখ (Lipulekh) তিনি ভারতের থেকে পুনরুদ্ধার করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন ওলি। তবে আগের মতো অনড় মনোভাব না দেখিয়ে আলোচনার মধ্যে দিয়েই এই সমস্যার সমাধান করবেন বলে জানান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত মেয়াদ ছিল সরকারের। কিন্তু, নেপালের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যেভাবে ওলির প্রতি ক্ষোভ বাড়ছিল তাতে তিনি কত প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরেই সরকার ভেঙে দিয়ে আগামী এপ্রিল মাসে ফের নির্বাচনের রাস্তায় হাঁটার পরিকল্পনা নেন কেপি শর্মা ওলি। উদ্দেশ্য ছিল, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে নিজেকে সর্বশক্তিমানে পরিণত করা। দলের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে নেপালের একনায়ক হয়ে ওঠা। আর তাই কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হয়েও ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মেটানোর বিষয়ে এখন থেকেই চেষ্টা শুরু করছেন। যাতে এই বিষয়টি নেপালে ভোটের সময়ে প্রচারের কাজে লাগানো যায়।