সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: রাসায়নিক পদ্ধতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সম্পূর্ণ ভেষজ উপায়ে ফলেছে আলু, টমেটো, সিম এমনকি উৎপাদিত হয়েছে চাল, ডাল, চা-ও। আর এসব খাঁটি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে শিলিগুড়িতে বসল ভেষজ হাট। রবিবার থেকে সূচনা হওয়া এই বাজারে গিয়ে প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনটিতে কেনাকাটা করতে পারবেন শিলিগুড়িবাসী। এভাবে ভেষজ কৃষি পদ্ধতিকে আরও উৎসাহিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগ। রয়েছে বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রীও, যা পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি।
রবিবার আমতলা হাটে গিয়ে দেখা গেল শাক-সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আলু, টমেটো, সিম থেকে শুরু করে ভেষজ চা, ভেষজ পদ্ধতিতে তৈরি বিভিন্ন রকমের ডাল, বাদাম, চাল-কী নেই? মশা মারার ভেষজ তেল, ধূপকাঠি, ধুনো কিম্বা হস্তশিল্পের একাধিক সামগ্রীর সম্ভার সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কোনওটাই রসায়নাগারে তৈরি সারের প্রয়োগে নয়, গোটাটাই হয়েছে গোবর, পাতা কিংবা ঘরোয়া বিভিন্ন বর্জ্যজাত ভেষজ সার থেকে। মূল উদ্যোক্তা হিমালয়ান অর্গানিক অ্যান্ড ন্যাচারাল নেটওয়ার্ক। কাজ করেছেন উত্তরবঙ্গের কৃষক ও শিল্পীরা। সঙ্গে ছিলেন সিকিমের কৃষকরাও। উদ্যোক্তাদের তরফে রাজ বসু জানিয়েছেন, প্রতি রবিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত হাট খোলা থাকবে। প্রথম দিনই প্রায় পাঁচশো মানুষ হাটে গিয়েছিলেন কেনাকাটা করতে। ভেষজ হাটের সূচনা উপলক্ষ্যে এদিন তাঁদের খাওয়ানো হয় ভেষজ পদ্ধতিতে তৈরি চাল এবং মশলা দিয়ে তৈরি পোলাও।
মদ্যপ যুবকদের সঙ্গে বচসা, মালদহে গুলিবিদ্ধ পরিবহণ দপ্তরের কর্মী
এই হাটকে আরও বিস্তার করার পরিকল্পনা রয়েছে উদ্যোক্তাদের। রাজবাবু বলেন, ‘‘মূলত প্রাচীন হাটের যে চিত্র বাংলায় দেখা যেত, সেভাবে এই ভেষজ হাটের পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি আম গাছের নিচে হাট বসেছে। প্রচলিত রীতির আদলেই তাই এটির নাম রাখা হয়েছে – আমতলা হাট। যদিও বিশ্বের দরবারে একে তুলে ধরতে ইংরেজি নামও দেওয়া হয়েছে – ম্যাঙ্গো ট্রি সানডে হাট। প্রথম দিন কুড়িটির মতো বিপণি ছিল। ধীরে ধীরে এখানে দোকানের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’ ভবিষ্যতে ভেষজ পদ্ধতিতে কৃষিকাজ দেখতে চাইলে পর্যটকদের জন্য রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
The post ভেজাল রোধে খাঁটির স্বাদ, উত্তরবঙ্গের নতুন আকর্ষণ ‘ভেষজ হাট’ appeared first on Sangbad Pratidin.